পথসভা ও উঠান বৈঠকে সরগরম জনপদ

কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ

পটিয়া প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৮ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণা জমে উঠেছে। প্রার্থীরা অটোরিকশা, ইজিবাইক ও রিকশায় মাইক বেঁধে প্রচারণা চালাচ্ছেন। পথসভা আর উঠান বৈঠকে সরগরম এখন নির্বাচনী এলাকার তৃণমূল জনপদ। সবার আশা ভোট যুদ্ধে জিততেই হবে। ভোট পাবার আশায় প্রার্থীরা দিচ্ছেন নানা ধরণের প্রতিশ্রুতি। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হচ্ছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী।

জানা গেছে, গত ইউপি নির্বাচনে চরলক্ষ্যা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করে দল থেকে অব্যাহতি পান মোহাম্মদ আলী। ওই ইউনিয়নে দলের প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সোলায়মান তালুকদার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

এ দিকে ফারুক চৌধুরী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিও। ২০১৭ সালে কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচনে তিনি নৌকার প্রার্থী হিসেবে বিএনপির দলীয় প্রার্থী এডভোকেট ফোরকানকে প্রায় ৩০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। ভোটাররা জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থীর শক্ত অবস্থানের কারণে নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে উপজেলায়।

ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় নির্বাচনী এলাকা সরগরম হয়ে উঠেছে। চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে নেমেছেন।

আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানায়, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শিকলবাহা ইউপিতে জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল করিমকে এবং চরপাথরঘাটা ইউনিয়নে সাবের আহমদ পরাজিত করেন দলের প্রার্থী সেলিম হককে। পরে এই দুই ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন দলের নীতি নির্ধারকরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের একাধিক নেতাকর্মী জানিয়েছেন, ‘দলের প্রার্থীর বিরোধিতা করে নির্বাচন করলে ‘বহিষ্কার’ করা হয়। আবার জয়ী হলে বহিষ্কৃতদের ফুল দিয়ে বরণ করে ‘আবিষ্কার’ করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনিখোঁজের তিন দিন পর মিলল শিশুর বস্তাবন্দি লাশ
পরবর্তী নিবন্ধপটিয়ায় দীর্ঘ যানজট, দুর্ভোগ