নগরীর উত্তর পতেঙ্গার মুসলিমাবাদ এলাকায় ৫ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের দায়ে এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তার নাম মাকসুদুর রহমান। তিনি ঘটনার সময় উত্তর পতেঙ্গা এলাকার জামিয়াতুল মদিনা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছিলেন।
গতকাল চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি মাকসুদুর কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনায় ছিলেন ট্রাইব্যুনালের পিপি শফিউল মোরশেদ চৌধুরী। ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বলেন, ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে বিচারক মাকসুদুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
ট্রাইব্যুনালসূত্র জানায়, ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর ৫ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। রাস্তার পাশে একটি ভ্যান গাড়িতে বসে খেলা করছিলেন ভিকটম শিশু। সেখান থেকে তাকে ডেকে মাদ্রাসায় নিয়ে যান আসামি। একপর্যায়ে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিম শিশুর পিতা বাদী হয়ে আসামি মাকসুদুরসহ দুইজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। অপরজন হলেন মো. মামুনুর রশিদ। তিনিও একই মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ট্রাইব্যুনালসূত্র জানায়, পুলিশ তদন্ত করে দুইজনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ২৭ জুন চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর ২০২২ সালের ২ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচারক বিচার শুরুর আদেশ দেন। বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন বলেন, আনীত অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি মো. মামুনুর রশিদকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।