পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং সৈকতের ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের পুনর্বাসন ও সৈকতের মূল ফটক খুলে দেওয়ার দাবিতে সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে সৈকতের ৫ শতাধিক দোকান মালিক ও কর্মচারী এবং স্থানীয় জনতা অংশগ্রহণ করে।
গতকাল শনিবার সৈকতের মূল বেঁড়িবাধে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে এ সিদ্ধান্তকে গণবিরোধী উল্লেখ করে অবিলম্বে তা বাতিল না করলে গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানানো হয়। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত দোকান মালিক সমিতি ও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক পুনর্বাসন কমিটির আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি ওয়াহিদুল আলম মাস্টার।সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন পতেঙ্গা বিচ কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি ওয়াহিদুল আলম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. মুসা আলম, আবদুল্লাহ আল মামুন, শাকিল হারুন, আবদুল আজিজ, জাহাঙ্গীর আলম, শেখ আহমেদ, শেখ আহমেদ সাগর, জামাল উদ্দিন, আবদুল হালিম, তাজুল ইসলাম, আবদুর রহমান, আবদুল মজিদ, মোরশেদ আলম, মো. হোসেন, আবদুল মজিদ, ইলিয়াছ প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে আন্তর্জাতিক মানের করার কথা বলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) সৈকতের ৬ কিলোমিটার এবং সাগরপাড়ের ৩৫ একর দেশি–বিদেশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সিডিএর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। সমুদ্র সৈকতের মালিক সিডিএ নয়। বক্তারা সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে সাধুবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবিলম্বে বেসরকারি ঠিকাদারদের কাছে ইজারার সিদ্ধান্ত বাতিল ও কর্ণফুলী টানেলের কারণে সৈকতে মূল চলাচলের ফটক অবিলম্বে খুলে দেওয়ার দাবি জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।