পটিয়ায় র্যাব–পুলিশ ও বনবিভাগের যৌথ অভিযানে ৪৩৬ দশমিক ৪৪ ঘনফুট অবৈধ সেগুন কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা কাঠের বাজার মূল্য আনুমানিক ২০ লাখ টাকা। গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নের পূর্ব রতনপুর গ্রামের ৭ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য রবিউল হোসেন কফিলের বসতবাড়ির আঙ্গিনা থেকে এসব কাঠ উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, র্যাব অভিযান চালিয়ে কাঠগুলো উদ্ধার করে গাড়িতে তোলার সময় স্থানীয় প্রায় ৪০/৫০ জন মহিলা এতে বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে কাঠগুলো গাড়ি থেকে নামিয়ে ফেলেন তারা। পরবর্তীতে পটিয়া থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পুনরায় কাঠগুলো উদ্ধার করে নিয়ে আসে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের পটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা নুরুল আলম হাবিব। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে কাঠের কোনো মালিকানা না পাওয়ায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে বন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেলিশহর ৭ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য রবিউল হোসেন কফিল বলেন, এগুলো আমার কাঠ নয়। কারা আমার আঙিনায় রেখেছে তাও জানি না। স্থানীয়রা জানান, পাহাড়ে প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে টিলা ও পাহাড় কেটে ছোট ছোট ট্রলি ও মিনি ট্রাকে করে হাজারো গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে প্রায় ‘অর্ধশত বনখেকো’। তাদের কারণে দিন দিন বন উজাড় হচ্ছে বন। এসব বনখেকোরা বনবিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রভাবশালীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে ম্যানেজ করে রাতে দিনে পাহাড়ের গাছ কেটে উজাড় করছে বলে অভিযোগ।