পটিয়ায় নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ আশিয়া আলী আহমদ ডিলারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন একই এলাকার আব্দুল আলমের পুত্র নাঈম (২২) ও মৃত সোলায়মানের পুত্র তারেক (১৯)। এ ঘটনায় সেপটিক ট্যাংকের সামনে অবস্থান নেওয়া দুইজন অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। তারা হলেন কন্ট্রাকটর মোহাম্মদ মানিক ও তার সহকারী মোজাম্মেল। তারা চিকিৎসা শেষে হাসপাতালের ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, ওই এলাকার প্রবাসী জানে আলমের পাকা ভবন নির্মাণের কাজ চলছিল। ভবনের জন্য সেপটিক ট্যাংকের গর্ত তৈরি করে সেখানে সেন্টারিং দিয়ে ঢালাই দেয়া হয়। দুই শ্রমিক গতকাল সকাল ৯টায় ট্যাংকে নামলে তারা গর্তের ভিতর প্রায় ৩ ফিট পানিতে পড়ে, পরে ভেসে উঠে। স্থানীয়রা খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের লোক ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই শ্রমিকের মৃতদেহ ট্যাংক থেকে উদ্ধার করে। পরে পটিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দুটি থানায় নিয়ে যায়। পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রাজেশ বড়ুয়া জানান, সেপটিক ট্যাংকে ইথেন গ্যাসের প্রভাব সৃষ্টি হওয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে এ দুই শ্রমিক মারা যেতে পারে। এ ধরনের দীর্ঘদিনের আবদ্ধ ট্যাংক ও অন্যান্য জায়গায় মানুষ প্রবেশের পূর্বে ম্যাচ বা অন্য কোন উপায়ে আগুন জ্বালিয়ে দেখা দরকার। এতে ওখানে অক্সিজেন আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়। আগুন না জ্বললে বুঝতে হবে ওখানে অক্সিজেন নেই। কারণ অক্সিজেন ছাড়া আগুন জ্বলে না। এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন হওয়া দরকার বলে তিনি মনে করেন।
পটিয়া থানার ওসি নুরুজ্জামান জানান, লাশ দুটি ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করে পটিয়া হাসপাতাল থেকে থানায় আনা হয়েছিল। তাদের মৃত্যু নিয়ে পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় এবং আইনি প্রক্রিয়ায় না যাওয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ দুটি ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।