পটিয়ায় গতকাল শনিবার পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন মোট ১১ জন। গতকাল সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার বাইপাস সড়কে রিলাক্স পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস স্ট্রিট লাইটপোস্ট ভেঙ্গে রাস্তার পাশে খাদের কিনারায় গিয়ে হেলে পড়ে। এতে গাড়ির চালকসহ ৪ জন আহত হয়। বাইপাস সড়কের পৌর সদরের করল–দক্ষিণঘাটা আন্তঃসংযোগ সড়কের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আহতরা হলেন কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ছৈয়দ নুরের ছেলে গাড়ি চালক কামাল উদ্দিন (৫০), পটিয়া উপজেলার খরনা ইউপির লালারখীল গ্রামের জয়নাব আক্তার (৫০), একই উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা রবিন (২২) ও চালকের সহকারী। জানা যায়, চালকের সহকারীকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তার নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, তাদের ধারণা চালকের অমনোযোগীতা ও অদক্ষতার কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। আরেকটু খাদে নামলে অনেকের প্রানহানির ঘটনা ঘটত। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তন্মধ্যে আহত রবিনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয় এবং চালককে পটিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর পটিয়া হাইওয়ে ক্রসিং পুলিশ ফাঁড়ির একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চেয়ারকোচটি উদ্ধার করে নিয়ে হয়। পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের কর্তব্যরত চিকিৎসক গিয়াস উদ্দিন বলেন, ড্রাইভারসহ ৩ যাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ১ জনকে চমেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। পটিয়া হাইওয়ে ক্রসিং পুলিশ ফাঁড়ির এস আই বাবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, সকালে সিএনজি অটোরিকশার সাথে বালি বোঝাই পিকআপের ধাক্কায় সুজন চৌধুরী প্রকাশ ধনা (৪৫) নামে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। গতকাল সকালে চট্টগ্রাম–কঙবাজার মহাসড়কের পটিয়া উপজেলার শ্রীমাই ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন উপজেলার হাইদগাঁও ইউপির ৫ নং ওয়ার্ডের দীজমনি চৌধুরীর পুত্র। সে মোটর ওয়ার্কশপে কাজ করত। আহতরা হলেন আবু আহমদ (৬০), সালমা (১৫) ও সানজানা (১৮)।
জানা গেছে, সকালে পটিয়া সদর থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশা চন্দনাইশের দিকে যাচ্ছিল। গাড়িটি শ্রীমাই ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে রাস্তার পাশ থেকে পিকআপটি সিএনজি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় পিকআপের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সিএনজিটি অটোরিকশাটি ধুমড়ে–মুচড়ে যায়। ঘটনার পর খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম হতাহতের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওয়ার্কশপ শ্রমিক সুজন মারা যায়।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান চালান। স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পিকআপ ও সিএনজি গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে।
অন্যদিকে একইদিন সকালে উপজেলার হাইদগাঁও বিওসি রোড তেঁতুলতলা এলাকায় মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের মুখোমুখী সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন সবুজ (১৫), তারেক (১৮), ইসমাইল (২০) ও ইমন (১৫)। তাদের মধ্যে ইমন, সবুজ ও আবু আহমদকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।