পটিয়ায় বিএনপি অফিসে হামলা–ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপিকে প্রধান আসামি করে পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও সাবেক এমপি ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, পটিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম ইসলাম দিদার, সাবেক মেয়র মো. আইয়ুব বাবুল ও অধ্যাপক হারুনুর রশিদসহ ৭৫ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩শ জনকে আসামি করে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। গত ১৮ জুলাই উপজেলা বিএনপি অফিসে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা যুবদলের সদস্য মো. আলী আহমদ বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। এছাড়াও পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম শামসুজ্জামান চৌধুরী, হুইপ পুত্র নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও পৌর কাউন্সিলরসহ এক ডজন জনপ্রতিনিধিকে মামলার আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পটিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলম জানান, গত ১৮ জুলাই সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি ছিল। এরই অংশ হিসেবে পটিয়া কলেজ থেকে সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের একটি মিছিল বের করলে আ. লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ওই মিছিলে সশস্ত্র হামলা চালায়। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেক নেতাকর্মী ভয়ে বিএনপি অফিসের খোলা বারান্দায় আশ্রয় নেয়। তখন আ. লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হামলা করার পাশাপাশি মহাসড়কের পাশে বিএনপি অফিসেও হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় এ মামলা করা হয়েছে। আ. লীগের সিনিয়র নেতাদের নির্দেশে ওইদিন এ হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন জানান, পটিয়ায় বিএনপি অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি ও সাবেক এমপি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীসহ ৭৫ জনকে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ৩শ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।