পটিয়ায় ঘরের তালা ও আলমিরার লকার ভেঙে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে সংঘবদ্ধ চোরের দল দ্বিতল ঘরের প্রতিটি কক্ষ তছনছ করে পরিবারের মহিলাদের ৭ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ২ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম হাইদগাঁওয়ের পাঠান পাড়ার মো. শফিকুর রহমানের ঘরে এ দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শফিকুর রহমানের পুত্র মো. খোরশেদুর রহমান বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পটিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, ঘটনার দিন বিকেল ৫টার দিকে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে পরিবারের লোকজন উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের গৈড়লা এলাকায় একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যান। যাওয়ার সময় মূল গেইটের ভিতর থেকে হুক আটকিয়ে কলাপসিবল গেইটে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়। রাত ৯টার দিকে পরিবারের সদস্যরা ঘরে ফিরে দেখেন মূল গেইটটি খোলা। তারা ভিতরে ঢুকে দেখেন আলমিরা ও ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার ভাঙা এবং দ্বিতল বিল্ডিংয়ের প্রতিটি কক্ষ তছনছ করা। ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার ও স্টিল আলমিরার ড্রয়ারে রাখা ৭ ভরি স্বর্ণ ও ব্যবসার কাজে রাখা নগদ ২ লাখ ২০ হাজার টাকা নেই।
এ বিষয়ে পরিবারের সদস্য মো. খোরশেদুর রহমান জানান, এভাবে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে এতবড় চুরির ঘটনা ঘটতে পারে তা আমাদের কল্পনাতেও ছিল না। এ ঘটনায় আমার বাবা ও পরিবারের সবাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। এতবড় ঘটনা আমাদের এলাকায় প্রথম। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ, ঘটনার সুষ্টু তদন্ত সাপেক্ষে সংঘবদ্ধ চোর চক্রকে গ্রেপ্তার করে আমাদের চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাগুলো উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
এদিকে পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার তেকোটা পুরাতন জামে মসজিদে গত সোমবার রাতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরের দল মসজিদের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে ঢুকে মসজিদের আইপিএসসহ ব্যাটারি ও দানবাঙের তালা ভেঙে টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে পটিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জায়েদ মোহাম্মদ নাজমুন নুর বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে বুধবার রাতে পটিয়া থানার এসআই মো. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।