‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল অসামপ্রদায়িক বাংলাদেশ। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান একটি স্বতন্ত্র জাতিসত্তা সৃষ্টি করেছিলেন। সেই জাতিসত্তা সৃষ্টির সঙ্গে সকল ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণ ছিলো। হিন্দু–মুসলিম–বৌদ্ধ–খ্রিস্টান সকলের মিলিত রক্তস্রোতে এই দেশের স্বাধীনতা এসেছিলো। বঙ্গবন্ধু বাহাত্তরের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতাকে অন্তর্ভুক্ত করে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমঅধিকার ও সমমর্যাদা নিশ্চিত করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সামপ্রদায়িক সমপ্রীতির বাংলাদেশ গড়তে চায়।’
গত শনিবার পটিয়া উপজেলাধীন বিভিন্ন পূজামন্ডপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম–১২ (পটিয়া) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।
পটিয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ–পটিয়া উপজেলা শাখার সহযোগিতায় পটিয়াস্থ জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলাউদ্দীন ভূঞা জনী। উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার পালিত। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ পটিয়া উপজেলার কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক শিপুল কুমার দের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম সামশুজ্জামান চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য ফারহানা আফরিন জিনিয়া, চট্টগ্রাম জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন রিমন মুহুরী। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ পটিয়া উপজেলার সভাপতি শিক্ষক রূপক শীল, সহসভাপতি ইন্দ্রজিৎ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব দাশগুপ্ত ছোটন, অর্থ সম্পাদক ছোটন সরকার, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক পংকজ নাথ, তাপস দে, ডা. বিধান মিত্র, উজ্জ্বল শুক্লদাশ, রবীন দাশগুপ্ত, সজল চৌধুরী, অনুপ মজুমদার, রুবেল গুহ, টিপু দস্তিদার, রয়েল চৌধুরী, মিলন দাশ, প্রদ্যুৎ দাশগুপ্ত রাণা প্রমুখ। সভা শেষে অতিথিবৃন্দ পটিয়া উপজেলার ১৬টি পূজামন্ডপের প্রতিনিধিদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের চেক হস্তান্তর করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।