পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নে গভীর রাতে একটি খামার থেকে ১৯টি গরু লুটের ঘটনা ঘটেছে। লুট হওয়া গরুগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪৫ লাখ টাকা বলে জানান খামারের মালিক। গত মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে ইউনিয়নের পাঁচুরিয়া হুলাইন ছালেহ নুর ডিগ্রি কলেজের সামনে এ আর এইচ এগ্রো খামারে এ লুটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় খামারের মালিক হেলাল উদ্দিন চৌধুরী বাদী হয়ে পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ সন্দেহজনকভাবে খামারের কেয়ারটেকার আবদুল মান্নানকে (৪৫) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে খামারের কেয়ারটেকার আবদুল মান্নান বলেন, রাত ২টার দিকে ৭–৮ জন লোক খামারে ঢুকে আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। পরে আরো ১০–১২ জন লোক এসময় খামারে হানা দেয়। সবার হাতে লম্বা দা ছিল। এরপর তারা আমাকে বাইরে বের করে গামছা দিয়ে হাত–মুখ বেঁধে ফেলে। পরে পর্যায়ক্রমে খামারের ছোট বড় ১৯টি গরু গেইটের পাশে রাখা একটি ট্রাকে তুলে নেয়। এসময় আমাকে চোখ বেঁধে ওই ট্রাকে তুলে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের গরীব আলী শাহ মাজার গেইট এলাকায় নামিয়ে দেয়।
খামারের মালিক হেলাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমার খামার থেকে ৩টি বড় জাতের ষাঁড়, ৮টি অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের দুধের গাভী, ৩টি ছোট–বড় বাছুর ষাঁড়, ৫টি গাভীসহ মোট ১৯টি গরু নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এগুলোর আনুমানিক মূল্য ৪৫ লাখ টাকা। এর আগেও আমার খামার থেকে ২০১৬ সালে ৪টি, ২০১৮ সালে ৬টি এবং ২০২২ সালে ৮টি গরু লুটের ঘটনা ঘটে।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আশপাশের বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ ও ঘটনার মোটিভ দেখে ঘটনার সঙ্গে কেয়ারটেকার আবদুল মান্নান জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্ভবত চোরচক্র আর কেয়ারটেকারের যোগসাজশে গরু লুটের ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ গরুগুলো উদ্ধারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।