চট্টগ্রামের পটিয়ায় একসাথে তিন সন্তানের জন্ম দিলেন এক প্রবাসীর স্ত্রী। কহিনুর আকতার (২৫) নামের এ গৃহবধূর নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে তিন সন্তান জন্ম হয়।
শুক্রবার (৭ জুন) পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে গাইনি কনসালটেন্ট ডা. সাথী ধরের তত্ত্বাবধানে ফুটফুটে এ তিন সন্তানের জন্ম হয়। তার সঙ্গে হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. ইরতিফা ইসলাম ও স্টাফ নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের যৌথ প্রচেষ্টায় এ প্রবাসীর স্ত্রীর দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
গৃহবধূ কহিনুর আকতার উপজেলার খরনা ইউনিয়নের ওয়াহিদুর পাড়া গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী মো. আবুর স্ত্রী। তাদের সাত বছর বয়সি আরো একটি কন্যা সন্তান রয়েছে বলে জানা যায়।
দ্বিতীয় বার প্রবাসীর এ পরিবারের তিন সন্তানের জন্ম নেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে নবজাতক তিন শিশু ও মাকে এক নজর দেখার জন্য হাসপাতালে ভিড় জমান তার পরিবার পরিজন ও স্বজনরা। তবে সদ্য ভূমিষ্ঠ তিন সন্তানের মধ্যে একজন বেশ অসুস্থ বলে জানান চিকিৎসকরা। এ তিন নবজাতকের সুস্থতায় ও চিকিৎসায় নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষ।
পটিয়া জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সন্তানসম্ভবা গৃহবধূ কহিনুর আকতার হাসপাতালে ভর্তি হন। এর কিছুক্ষণ পর তার ব্যথা শুরু হলে চিকিৎসকরা তাকে ডেলিভারি রুমে নিয়ে যায়। সেখানেই নরমাল ডেলিভারিতে তার ফুটফুটে তিন সন্তানের জন্ম হয়।
তিন সন্তান জন্ম দেওয়া মা কহিনুর আকতার বলেন, আল্লাহ পাকের অশেষ মেহেরবানীতে আমার তিন সন্তান নরমাল ডেলিভারিতে ভূমিষ্ঠ হয়েছে। আমার যত কষ্টই হোক না কেন আমি তাদের ভরণপোষণ ও লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ করতে চাই।
পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ হুমায়ুন রশীদ বলেন, হাসপাতালে গাইনি কনসালটেন্ট ডা. সাথী ধরের তত্ত্বাবধানে থাকা কহিনুর আকতার নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। যেখানে চট্টগ্রাম শহরেও একসাথে তিন নবজাতকের জম্মদানে সিজারের প্রয়োজন হয়, এ অবস্থায় এখানে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে একসাথে তিন নবজাতকের জম্ম হওয়া পটিয়াবাসীর জন্য খুবই একটা ভালো খবর।
তিনি আরো জানান, নবজাতক ও মায়ের জন্য আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করেছি। নবজাতক ও মা সুস্থ আছেন। তারা এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা পুরোপুরি সুস্থ হলে আমরা তাদেরকে আজ শনিবার বিকেলে বাড়ি পাঠিয়ে দেব।