পঞ্চগড়ে হামলা সরকারের মদদে : ফখরুল

| মঙ্গলবার , ১৪ মার্চ, ২০২৩ at ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ

পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের উপর হামলায় সরকারের ‘মদদের’ অভিযোগ এনেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। হামলার আগে কয়েকদিন ধরে বাড়িঘরগুলো পতাকা টাঙিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছিল বলেও তিনি দাবি করেছেন।

আহমদিয়াদের জলসার অনুমতি দিলেও নিরাপত্তার ব্যবস্থা কেন নেওয়া হয়নি, সেই প্রশ্নও তুলেছেন ফখরুল। তার দাবি, বিএনপির আন্দোলন যখন ‘বেগবান হচ্ছে’ তখন জনগণের দৃষ্টি অন্য জায়গায় সরাতে চাইছে সরকার। এর অংশ হিসেবেই এই হামলা হয়। এখন ‘অপপ্রচার’ করে সরকার বিএনপির ওপর দোষ চাপাতে চায় মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এসব অপপ্রচারে বিশ্বাস করে না। খবর বিডিনিউজের।

গতকাল সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁও শহরে নিজ বাসভবনে জেলা বিএনপির বর্ধিত সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, হামলার কয়েকদিন আগে থেকেই আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বাড়িগুলোতে লাল ও সাদা পতাকা লাগিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই চিহ্নিত বাড়িঘরে আক্রমণ করা হয়েছে। আপনারা দেখেছেন কীভাবে নির্মমভাবে, অমানবিকভাবে তাদের বাড়িঘরে আক্রমণ হয়েছে, লুটতরাজ হয়েছে এবং ভাঙচুর করা হয়েছে। দুইজন প্রাণ দিয়েছেন; একজনকে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে, আরেকজন পুলিশের গুলিতে মারা গেছে।

ফখরুল বলেন, পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের এ ধরনের একটা বিতর্কিত জলসা সেটা করতে সরকার অনুমতি দিয়েছে। অনুমতির পর সরকারের দায়িত্ব ছিল সেই জলসায় ফুল প্রটেকশন দেওয়া; সেই প্রটেকশন কিন্তু সরকার দেয়নি। বিএনপি যখন একটা কর্মসূচি ঘোষণা করে, তখন আমাদেরকে প্রটেকশন দেওয়ার কথা বলে হাজার হাজার পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হয়। তিন ঘণ্টা ধরে হামলার সময় কিছু পুলিশ দিলেও তারা ‘নিরব দর্শকের ভূমিকা’ পালন করেছে বলে অভিযোগ বিএনপি মহাসচিব।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের আক্রান্ত ব্যক্তিরা তাদের স্টেটমেন্ট দিয়েছেন সেগুলো পত্রপত্রিকায় এসেছে। এতে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছে ঘটনাটি হয়েছে পরিকল্পিতভাবে। নির্বাচনের পূর্বে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন শুরু করেছে এবং মানুষ সোচ্চার হয়ে উঠেছে। এই গণআন্দোলন যখন বেগবান হচ্ছে এবং বিস্ফোরণের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে; তখনই আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটিয়ে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চায়। একই সঙ্গে সরকার বিএনপির ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করতে চায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুই মাসে কাটা হলো চারশ লাইটারেজ জাহাজ
পরবর্তী নিবন্ধ২০টি ব্যাটারি রিকশা জব্দ