সরকার পদত্যাগের দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী জোটগুলো আজ বুধবার আলাদা আলাদাভাবে সভা–সমাবেশ করবে। এসব কর্মসূচি থেকে দেওয়া হবে যৌথ ঘোষণা। এদিন বেলা ২টায় নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে বিএনপি।
এছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবে, ১২ দলীয় জোট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট বিজয়নগর পানির ট্যাংকের কাছে, এলডিপি এফডিসি সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের সামনে, গণফোরাম–পিপলস পার্টি মতিঝিলে ইডেন গার্ডেনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে, লেবার পার্টি নয়া পল্টনে মসজিদ গলিতে দলের কার্যালয়ে যুগপৎ ঘোষণার কথা জানাবে।
এছাড়া গণঅধিকার পরিষদ (রেজা কিবরিয়া) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এবং গণঅধিকার পরিষদ (নূরুল হক নূর), গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, সমমনা গণতান্ত্রিক পেশাজীবী জোট জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এবং সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিকাল তিনটায় এই ঘোষণা দেবে। আর গণতন্ত্র মঞ্চ বিকাল ৪টায় প্রেস ক্লাবে একই ঘোষণা দেবে। খবর বিডিনিউজের।
কর্মসূচি প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামীকাল ১২ তারিখ আমরা একটা যৌথ ঘোষণা দেব এবং যুগপৎ আন্দোলনের সাথে যারা আছে, সবাই যার যার অবস্থান থেকে ঘোষণা দেবে। একই সময় দেবে, একই ঘোষণা আসবে। আমরা মনে করি, এ রকম একটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে জাতি আশান্বিত হবে, উজ্জীবিত হবে। আন্দোলন আরো শক্তিশালী–বেগবান হয়ে এই সরকারের পতন ঘটাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
বিএনপিসহ বিভিন্ন জোটের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা এখন সরকারের পদত্যাগ তথা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগকে ‘এক দফা’ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে আন্দোলনের নতুন যাত্রা শুরু করতে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন।
ব্যাপক প্রস্তুতি : সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিজয়নগর–কাকরাইল থেকে শুরু করে আরামবাগ পুলিশ বক্স পর্যন্ত ব্যাপক জনসমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছে মহানগর বিএনপি। উত্তর–দক্ষিণ মহানগরের নেতারা সব অঙ্গ সংগঠনগুলোকে নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে।
মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, আমাদের এই সমাবেশ হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। এজন্য আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছি।
গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে জনসভা থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ ১০ দফা ঘোষণা করেন। ১০ দফা ঘোষণা পর গণমিছিলের কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনে যাত্রা শুরু হয়। টানা ৭ মাসের এই সময়টি বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি, পদযাত্রা, বিভাগীয় শহরে সমাবেশ প্রভৃতি কর্মসূচি করেছে বিএনপিসহ শরিক জোটগুলো।
আরো তিন দলের সঙ্গে বৈঠক : এক দফা আন্দোলনের কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে বিএনপি গত তিন দিন ধরে সমমনা জোটগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করে যাচ্ছে। গতকালও বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ (নুরুল হক নূর), গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য ও সাধারণ ছাত্র অধিবার সংরক্ষণ পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে। বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটিতে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।