দেশে দৈনিক শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা আরও বেড়ে ৩৯শ পেরিয়ে গেছে, নয় মাসের মধ্যে যা প্রায় সবচেয়ে বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ হাজার ৯০৮ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মৃত্যু হয়েছে আরও ৩৫ জনের। এ নিয়ে গত ৫ দিন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে তিন হাজারের বেশি থাকল। এর আগে গত বছরের ২ জুলাই এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন মোট ৪ হাজার ১৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। মহামারী শুরুর পর থেকে সেটাই একদিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। খবর বিডিনিউজের।
গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার বেড়ে ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ হয়েছে, যা ৩১ আগস্টের পর সবচেয়ে বেশি। নতুন শনাক্ত ৩ হাজার ৯০৮ জনকে নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৭১৪ জনে। গত একদিনে মারা যাওয়া ৩৫ জনকে নিয়ে দেশে মোট ৮ হাজার ৯০৪ জনের মৃত্যু হলো।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ১৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত একদিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৯৪১ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে গত বছর ৮ মার্চ করোনার প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিশ্বে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১২ কোটি ৬৭ লাখ পেরিয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৭ লাখ ৭৮ হাজার। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৪তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৪০তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট ২২৪টি ল্যাবে ২২ হাজার ১৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৪৫ লাখ ৮৮ হাজার ৮৩০টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ২১ জন পুরুষ আর নারী ১৪ জন। তাদের প্রত্যেকেই হাসপাতালে মারা গেছেন।