প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেছেন, চট্টগ্রাম প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত আবেগের অংশ। ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে বন্দরের উন্নয়ন, বে টার্মিনালসহ নানা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইতোমধ্যে ২৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ এসেছে। এই অঞ্চলের কাজ শেষ হলে প্রায় ১৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। চট্টগ্রামের রাস্তাঘাট উন্নয়নে ৬ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য মেগা প্রকল্পে ১৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বন্দরকে ঘিরে ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ড আরও বৃদ্ধি পাবে এবং চট্টগ্রামকে সমৃদ্ধ, আধুনিক, স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তাই সিটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে জয়ী করলে সমৃদ্ধ এবং আরো আধুনিক নগরীতে পরিণত হবে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামে শেখ হাসিনা অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। এসব প্রকল্পে কানেকটিভিটি বাড়লে, বন্দরের সক্ষমতা বাড়লে ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন পূরণ হবে।
গতকাল শনিবার আগ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কক্ষে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে ব্যবসায়ীদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ভুঁইফোড় কিংবা হাইব্রিড নন। তিনি সৎ রাজনীতিক। ২৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে। চট্টগ্রাম থেকে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে এ রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা চট্টগ্রামের স্কাই লাইন চেঞ্জ করে দিয়েছেন। এ শহরের মর্যাদা রাজধানীর চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু কন্যার অনেক ব্যক্তিগত স্মৃতি আছে। চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মরিচের চারা গণভবনের আঙিনায় লাগিয়েছেন। চসিক নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হবে না। কিন্তু রেজাউল ভাইকে জয়ী করতে পারলে শেখ হাসিনার কাছে আমাদের মুখ উজ্জ্বল হবে।
মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম ব্যবসার প্রাণ কেন্দ্র ছিল ঔপনিবেশিক আমলে। সেই গৌরব আমরা হারিয়েছি। এ চট্টগ্রামকে সমৃদ্ধ করলে সমগ্র দেশ সমৃদ্ধ হবে। মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন, চট্টগ্রাম সর্বাগ্রে। জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের প্রতি আন্তরিক। আমরা যদি এক হতে পারি চট্টগ্রামকে পেছনে তাকাতে হবে না৷ পরিকল্পিতভাবে এ চট্টগ্রামকে গড়ে তুলতে হবে। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, পেশাজীবী সবাই মিলে পরামর্শক্রমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে।
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা রেজাউলের জন্য শহীদ পরিবারের সন্তান হিসেবে আমি ভোট ভিক্ষা করছি।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপ্রাণ চেষ্টা করছেন এ শহরের উন্নয়নের জন্য। শহরের উপর প্রতিনিয়ত চাপ বাড়লেও আয়তন বাড়ছে না। তবে সমন্বয়ের ঘাটতি বিদ্যমান। সেবা সংস্থাগুলোর কর্ণধারদের মধ্যে দেশপ্রেম থাকলে আপাতকালীন কষ্ট হলেও ওয়াসার পানি ও স্যুয়ারেজের কাজ শেষ হলে জনগণ অচিরেই সুপেয় ও নিরাপদ পানি পাবে।
সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ চট্টগ্রামের আহ্বায়ক এবং চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, সরকারের সফলতা ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় রেজাউল করিম চৌধুরীকে জয়যুক্ত করার কোনো বিকল্প নেই। আমরা জয় রেজাউলকে নয়, প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেব। তিনি বলেন, সব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম হবে দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্যিক হাব।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চেম্বারের সাবেক সভাপতি এস এম আবুল কালাম, পরিচালক মো. এস এম আবু তৈয়ব, সাবেক পরিচালক মঈনউদ্দিন আহমেদ মিন্টু, মাহফুজুল হক শাহ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উইম্যান চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফা, এ এম চৌধুরী সেলিম, ছৈয়দ ছগীর আহমদ প্রমুখ।