আগামী ১৬ মার্চ নাজিরহাট পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র পদে প্রায় এক ডজনেরও বেশি সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে ১১ জনই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছে।
তারা ইতিমধ্যে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা বসে নেই। এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি কোনো প্রার্থী নেই। উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৪ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে এই পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন তৎকালীন ফটিকছড়ি আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুল হক (প্রয়াত)।
তাকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন ফটিকছড়ির বিএনপির এক সময়ের সদস্য সচিব ও দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম সিরাজ উদ–দৌলা। নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পর তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলেই রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে গ্রুপিং।
তাই মনোনয়ন পাওয়া ব্যক্তি গ্রুপিংয়ের কারণে পরাজিত হয় কিনা তা এখন দেখার বিষয়।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেন নাজিরহাট পৌরসভার বর্তমান মেয়র এস এম সিরাজ উদ–দৌলা, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন শহীদ জাফর আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা এ কে জাহেদ চৌধুরী, পৌর যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ হাসান, সাবেক ছাত্রনেতা ছৈয়দ লুৎফুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন আজম, আলী আজম ছাদেক, জাবেদ জাহাঙ্গীর টুটুল, প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী,
উত্তর জেলা ছাত্রলীগ নেতা মফিজ তালুকদার, রেজভী আপ্পান মাহমুদ জেরিন। তাদের সকলের নাম আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠানো হবে বলে জানান উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বোরহান আহমেদ।
অপরদিকে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে কোন প্রার্থী ঘোষণা না দিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছে ব্যবসায়ী নেতা নাছির উদ্দিন। তিনি বলেন, আমি ব্যবসায়ী নেতা। নাজিরহাট উত্তর চট্টগ্রামের ব্যবসার শহর। আমি সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। আমাকে আমার সমর্থক লোকজন মেয়র পদে প্রার্থী হতে জোর করছে। তাই মনোনয়ন ফরম নিয়েছি।
পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন শহীদ জাফর আলম বলেন, ছাত্র রাজনীতি করে আওয়ামী রাজনীতি করছি। দলে ত্যাগী পরিবারের সন্তান হিসেবে মনোনয়ন অবশ্যই চাইব। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে কাজ করবো।
আওয়ামী লীগ নেতা এ কে জাহেদ চৌধুরী বলেন, গত নির্বাচনে সিনিয়র হিসেবে মুজিব ভাইকে ছাড় দিয়েছি। এবার যারা দলের মনোনয়ন চাচ্ছেন সবাই আমার জুনিয়র। বয়স তো আর কম হয়নি। ধৈর্য্যের পরীক্ষা কী দিতেই থাকব? অপরদিকে কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নাল আবেদীন, মোহাম্মদ আলী, আলী নেওয়াজ ভান্ডারী, মোহাম্মদ ইছমাইল, জুয়েল, হাসান মুন্সি জানান, তারা কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে মানুষের সেবা করার আরো সুযোগ চান।
উল্লেখ্য যে, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ, ২০ ফেব্রুয়ারি যাচাই বাছাই, ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১৬ মার্চ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এটি পৌরসভার দ্বিতীয় নির্বাচন হলেও ইভিএম পদ্ধতিতে প্রথমবারেরর মতো ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।