নেপালের আদালতে ইউএস-বাংলাকে ‘ক্ষতিপূরণের আদেশ’

কাঠমান্ডু ট্র্যাজেডি

| রবিবার , ২৭ জুলাই, ২০২৫ at ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ

নেপালে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় সেখানকার একটি আদালত ইউএসবাংলা এয়ারলাইন্সকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যমকাঠমান্ডু পোস্ট। তবে এয়ারলাইন্সটি বলছে, এ ধরনের রায়ের কোনো অনুলিপি তারা এখনো হাতে পায়নি। ২০১৮ সালে নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়ে ইউএসবাংলার উড়োজাহাজে থাকা ৭১ আরোহীর ৫১ জন নিহত হন।

কাঠমান্ডু পোস্ট বলছে, প্রায় সাত বছর মামলা চলার পর গেল রোববার ক্ষতিপূরণের রায় আসে। রায়ের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বীমা কোম্পানি থেকে প্রতি পরিবারকে ২০ হাজার ডলার করে যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর বাইরে ইউএসবাংলা এয়ারলাইন্সকে মোট ২৭ লাখ ৪০ হাজার ডলার পরিশোধ করতে হবে। এ অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৭টি পরিবারকে।

তবে নেপালের আদালতে এমন কোনো রায় আদৌ হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় উড়োজাহাজ সংস্থাটি। ইউএসবাংলা এয়ারলাইন্স বলছে, তাদের বিরুদ্ধে একটি আদালতে রায় হয়েছে বলে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, সে বিষয়ে তারা এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশ বা আদালতের রায় সংক্রান্ত তথ্য পায়নি। গতকাল শনিবার এক বার্তায় এয়ারলাইন্সটি বলেছে, আমাদের লিগ্যাল টিম বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে যাচাই করছে। যদি এমন কোনো রায় থেকে থাকে, তা আইনিভাবে বিশ্লেষণ করে যথাসময়ে গণমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট মহলকে জানানো হবে। খবর বিডিনিউজের।

কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদন বলছে, নেপালের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ আদায়ের রায় পেল। এর আগে কোনো বিমান সংস্থাকে এভাবে দায়ী করা হয়নি বলেও তথ্য দিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। কাঠমান্ডু জেলা আদালত এ রায় দিয়েছে তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউএসবাংলা এয়ারলাইন্স চাইলে এখন উচ্চ আদালত ও সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারবে। কাঠমান্ডু জেলা আদালতের তথ্য কর্মকর্তা দীপক কুমারের বরাতে খবরে বলা হয়, রায়ের পূর্ণাঙ্গ লিখিত অনুলিপি পেতে কিছুটা সময় লাগবে। এ মামলার বিচারক ছিলেন দিবাকর ভট্ট। নিহত ১৬ যাত্রীর পরিবার ও একজন জীবিত যাত্রীর পক্ষে এ মামলা করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় মিলল যুবকের মরদেহ
পরবর্তী নিবন্ধবন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর নির্মাণে প্রয়াসের আর্থিক সহায়তা