ভারতের গ্রিড লাইন ব্যবহার করে নেপাল থেকে আবার বিদ্যুৎ আসতে শুরু করেছে বাংলাদেশে। নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে হওয়া ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী গতকাল রোববার প্রথম প্রহরে (রাত ১২টার পর থেকে) বিদ্যুৎ আসা শুরু হয়েছে বলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (উৎপাদন) মো. জহুরুল ইসলাম জানান। তিনি বলেন, নেপাল থেকে ৩৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসা শুরু হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ছয় মাস বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে নেপাল। খবর বিডিনিউজের।
গত বছরের ১১ জুন আওয়ামী লীগ সরকারে থাকার সময় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে নেপাল থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। তখন প্রতি ইউনিটের দর ঠিক হয় ভারতীয় ট্রান্সমিশন চার্জসহ ৬ দশমিক ৪ সেন্ট ( প্রায় সাড়ে ৭ টাকা), যা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয়ের চেয়ে কম। বাংলাদেশে এখন প্রতি ইউনিটের উৎপাদন ব্যয় ১১ টাকার বেশি।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর গত অক্টোবরে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়। নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি (এনইএ) ও ভারতের এনটিপিসি বিদ্যুৎ ভেপার নিগম লিমিটেডের (এনভিভিএন) সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে সই করে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড–পিডিবি। সেই চুক্তি অনুযায়ী নভেম্বরে কয়েকদিনের জন্য বিদ্যুৎ এসেছিল বাংলাদেশে। এরপর শুকনো মৌসুম শুরু হয়ে যাওয়ায় সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। চুক্তি অনুযায়ী ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দেবে নেপাল।
নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে প্রায় ছয় বছর ধরে ভারত ও নেপালের সঙ্গে দেন দরবার করেছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। নেপাল রাজি থাকলেও নানান শর্তের বেড়াজালে ভারত সেই উদ্যোগ পেছাতে থাকে। শেষ পর্যন্ত গতবছর এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হয়।