পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বসে যাওয়া পুরাতন গাড়ির মতো বিএনপিকে দেশি–বিদেশি অনেকে ঠেলেও স্টার্ট দিতে পারেনি। বিএনপির এই পুরাতন গাড়ি স্টার্ট দিতে হলে ব্যাটারি চেঞ্জ করতে হবে। কিন্তু তাদের ডেম হয়ে যাওয়া ব্যাটারিও থাকে লন্ডনে। এই ব্যাটারি ফেলে না দিলে বিএনপির রাজনীতির গাড়ি আর কখনো স্টার্ট হবে না। বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো, নেতৃত্বের পরিবর্তন ছাড়া আপনাদের এই দল এবং রাজনীতি আর কখনো সচল হবে না।
তিনি বলেন, সমস্ত পৃথিবী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে এবং এই সরকারের সাথে কাজ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে। আর এগুলো দেখে মাথা খারাপ হয়ে বিএনপি কয়দিন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে বসেছিল, কি করবে বুঝতে পারেনি।
গতকাল সোমবার দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সিরাজুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ মাঠে বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ প্রয়াত মোছলেম উদ্দিন আহমদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই স্মরণসভার আয়োজন করে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এবার নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। প্রথমে ষড়যন্ত্র ছিল নির্বাচন যাতে না হয়, যখন সেটি ঠেকাতে পারেনি, তারপর ষড়যন্ত্র ছিল নির্বাচনের মধ্যে নাশকতা সৃষ্টি করে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা। সেটি যখন করতে পারেনি তারপর পরিকল্পনা ছিল নির্বাচন যাতে দেশে–বিদেশে গ্রহণযোগ্য না হয়। প্রয়াত মোছলেম উদ্দিন আহমেদ একজন কর্মী থেকে নেতা হয়ে উঠা মানুষ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মিছিলের পেছনের সারির কর্মী থেকে তিনি নেতৃত্বের আসনে আসীন হয়েছিলেন। একজন কর্মী কিভাবে নেতা হতে পারেন সেটির উদাহরণ তিনি। আজকের নতুন প্রজন্ম যারা ৩০ বছর বয়স, তারা জানেনা বিরোধী দল কি, বিরোধী দলে থাকলে যন্ত্রণা কি, সেটি অনেকে বুঝতে পারে না। সমস্ত প্রতিকূলতাকে উপড়ে ফেলে মোছলেম উদ্দিনের মতো যারা জননেত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ডকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন আজকে ধীরে ধীরে তাদের অনেকে প্রয়াত হয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, এখন অনেকেই রেডিমেইড নেতা হতে চায়, অনেকে টাকা দিয়ে রাজনীতি কিনতে চাই, অনেকে রাতারাতি নেতা বনে যেতে চান, সেজন্য আওয়ামী লীগ নয়, টাকা দিয়ে রাজনীতি কেনা যায় বিএনপি–জাতীয় পার্টিতে, আওয়ামী লীগে নয়। অর্থ আর বিত্তকে আমাদের দল মূল্যায়ন করে না, কর্মীর মূল্যায়ন করে।
কর্ণফুলী নদীর উপর কালুরঘাট সেতুর ডিজাইন এপ্রুভ হয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি, ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী এই ডিজাইনে সম্মতি দিয়েছেন। এটি একনেকে গিয়ে এপ্রুভ হলে কাজ শুরু হবে ইনশাল্লাহ। প্রয়াত মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ও মাইনুদ্দিন খান বাদল কর্ণফুলী সেতুর জন্য অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছেন। আমিও তাদেরকে একাজে সব সময় সহযোগিতা করেছি। সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিবের সাথে আমি বেশ কয়েক দফা কথা বলেছি। একটু অপেক্ষা করুন এটি হয়ে যাবে।
বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজার সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, আবদুচ ছালাম এমপি, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাশ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আব্দুল কাদের সুজন প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।