নেতাকর্মীদের না পেয়ে ধরা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের

অভিযোগ বিএনপির

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৯ নভেম্বর, ২০২৩ at ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ

চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ চট্টগ্রামে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার করছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। এমনকি নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের না পেলে পরিবারের অন্য সদস্যদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করে দলটি। এক্ষেত্রে ‘টার্গেটকৃত’ ব্যক্তিকে বাসায় না পেয়ে তাদের পিতা, ভাই কিংবা অন্য সদস্যদের আটক করে নিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করা হয় দলটির পক্ষ থেকে।

গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে এ দাবি দরে বিএনপি নেতারা এ জন্য উদ্বেগও প্রকাশ করেন। বিবৃতিদাতারা হচ্ছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর মো. নাছির উদ্দীন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার রাতে ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের নিউ শহীদ লেইন ইউনিট যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাসেলকে বাসায় না পেয়ে তার ছোট ভাই মহিন উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে নতুন মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে। অথচ মহিন উদ্দিন রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। পুলিশ তল্লাশির সময় বাসায় ভাংচুর ও পরিবারের মহিলা ও শিশু সদস্যদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করছে। একইদিন ভূজপুর থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হককে বাড়িতে না পেয়ে তার বড় ভাই এমদাদুল হককে আটক করা হয়। সেও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে আমিন শিল্পাঞ্চল সাংগঠনিক ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ সুমনকে না পেয়ে তার বৃদ্ধ বাবা মোহাম্মদ কবিরকে তার বায়েজিদ বাংলা বাজারস্থ দোকান থেকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রামে বিএনপির নেতাকর্মীরা সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল সমাবেশের মধ্য দিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। যেহেতু সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তরুণরা সামনের সারিতে তাই তরুণদের ওপর চলছে অত্যাচারের স্টিম রোলার। বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসার গেট ও জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকছে। তল্লাশির নামে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িরঘর তছনছ করে দিচ্ছে। ভুয়া ও গায়েবি অভিযোগ তুলে পুলিশের সদস্যরা এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিরাতে তল্লাশির নামে হয়রানি করছে। সক্রিয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিএনপির সমর্থকরা পর্যন্ত তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। পুরো চট্টগ্রামকে যেন একটি অবরুদ্ধ কারাগার বানিয়ে ফেলা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফের স্বর্ণের দামে রেকর্ড, ভরি ১ লাখ ৬ হাজার ৩৭৬ টাকা
পরবর্তী নিবন্ধবুকে গুলি চালিয়ে পুলিশ সদস্যের আত্মহত্যার চেষ্টা