নীলাকাশে মেঘের কাশফুল
ধবধবে সাদা; পালকের মতো মোলায়েম,
ভৈরবী রাগে আগমনী গান
ঢাক–ঢোল বাদ্যে মিলন উৎসব প্রধান
সূর্যের মতো উজ্জ্বল কোজাগরি পূর্ণিমার চাঁদ।
প্রকৃত চেহারা তবে মহাকাশচারী টেলিস্কোপে–
জল বুকে মহাশূন্য; আকাশ–নদীর প্রবাহ
সূর্যপাটে জ্বলন্ত গ্যাসের গোলা,
চাঁদের রাজ্যে সারা গায়ে পাথর ছড়ানো
রুক্ষ জল–হাওয়া শূন্য
অসংখ্য গর্তমুখ ক্লেডিউস বিশাল।
প্রকারান্তরে ধরণীর মা মাটিতে আমি,
মমতা–হিম ঝরে ফুলে
স্নিগ্ধবর্ণ হলুদবোঁটা মিষ্টিঘ্রাণ শিউলি
প্রণয়াভিমানে সূর্যের মুখ দেখবে না বলে
ফোটে রাতে–শিশিরার্দ্র ঝরে সকালে,
বিপরীতে–
শুভ্রদেহ সুগন্ধ প্লাবনে কামিনী ফুলকলির
প্রভাতে প্রস্ফুটন–গলে যায় সন্ধ্যায়
গাছতলে মুক্তোর মতো।
ধরবে দোষ কোন যদি বলি–
নিজেকে চিনেছি নর–চিনেছি নারী অধিকারী
কল্পনার সৌন্দর্য কি কঠিন বাস্তব–কার পক্ষে থাকি
দিত্ব অমীমাংসিত সত্যে সম্মুখে যখন
আমার কবিত্বসত্তা; ‘যেন নহে–এই সেই’ বিজ্ঞানমন।