আজ কিছুই বলবো না,
ভাষা হোক জ্যোৎস্নার মতো জড়োসড়ো।
হিমে ভেজা ধানে যেমন নামে প্রভাত,
তেমন জমুক কণ্ঠে অব্যক্ত মেঘ।
কে শুনে কাকে? পাখিরা নিঃস্ব,
শিশুরা শিখছে রাইফেলের ঘ্রাণ।
শিক্ষকের চশমা ভাঙে সময়ের থাবা,
শিরা বেয়ে উঠে বিষাক্ত নদী।
নামে ভাসে সংবিধান, কম্পাস ভাঙা,
যুবকের হাতে নেই কলম, আছে ধোঁয়া।
বটগাছ কাটা হয়, পাখিরা পালাতে পারে না,
শোক জমে পাথর, রাগ ঘুমায় প্রলয়ে।
বলা মানেই আজ রাষ্ট্রদ্রোহ,
বুদ্ধিজীবী আয়নায় নিজেকে ভয় পায়।
নৈঃশব্দ্য ঘিরে উঠে সিংহাসন,
আর আমি চুপ থেকে শুনি আত্মহত্যার শব্দ।