নীতিমালা ছাড়া রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষমতা কেন অবৈধ নয়

হাই কোর্টের রুল

| মঙ্গলবার , ৪ মার্চ, ২০২৫ at ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ

নীতিমালা ছাড়া দণ্ডিতকে ক্ষমা করার রাষ্ট্রপ্রধানের ক্ষমতা কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক নয়, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। এ সংক্রান্ত একটি রিটের শুনানি নিয়ে গতকাল সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ রুল জারি করেন। রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান নিজে এ আবেদনের শুনানি করেন। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী রাশিদুল হাসান, তানজিলা রহমান ও ইফাত হাসান শাম্মি। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মহসীন কবীর রকি। খবর বিডিনিউজের। ইশরাত হাসান বলেন, রুলে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা সংক্রান্ত নীতিমালা করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের ক্ষমা করা হয়েছে। এতে জনমনে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে আশঙ্কা দেখা দেয়। ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়। এই ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে, নীতিমালা প্রণয়ন করা আবশ্যক। কোনো নীতিমালা ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত কোনো আসামিকে ক্ষমা করার ক্ষমতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২০ জানুয়ারি জনস্বার্থে হাই কোর্টে রিট মামলা করেন ইশরাত হাসান। রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা রয়েছে। এই ক্ষমা করার ক্ষমতা অবাধ, যার কোনো নীতিমালা নেই। কে, কীসের ভিত্তিতে ক্ষমা পাচ্ছেনতার কোনো নীতিমালা নেই; যা সংবিধানের ৭, ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ইতোমধ্যে এই ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে অনেক সাজাপ্রাপ্ত আসামি ক্ষমা পেয়েছেন। যার মধ্যে সাবেক সেনাপ্রধানের ভাই জোসেফ, আসলাম ফকির উল্লেখযোগ্য। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পার্লামেন্ট সচিব ও রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিবকে মামলায় বিবাদী করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক পরিদর্শনে গেলেন সেনাবাহিনী প্রধান
পরবর্তী নিবন্ধফখরুল হাসপাতালে ভর্তি