নীতিমালা প্রণয়ন করা ছাড়া মৃত্যুদণ্ড কেন অবৈধ নয় এবং এ সংক্রান্ত নীতিমালা কেন তৈরি করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে রুল জারি করে। আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের সচিব এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট তানজিলা রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান গত ৭ ডিসেম্বর এ রিট আবেদন করেন। আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের সচিব এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে সেখানে বিবাদী করা হয়। ইতোমধ্যে ১১২টি দেশ সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রদ করার কথা তুলে ধরে এ শাস্তিকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণার আবেদন করেছেন রিটকারী। অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান সেদিন বলেছিলেন, অনেক উন্নত দেশসহ প্রতিবেশী দেশ ভুটান ও নেপালে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ মৃত্যুদণ্ডের বিধান নিষিদ্ধ করার পক্ষে আন্তর্জাতিক দলিলে স্বাক্ষরকারী দেশ। সে হিসেবে সেসব দলিল অনুসরণ করাই আন্তর্জাতিক আইনের রীতি।
রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু এই মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংবিধানের ৩২ ও ৩৫ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়া জাতিসংঘ ঘোষিত ১৯৪৮ সালের মানবাধিকার সনদ, ১৯৬৬ সালের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং ১৯৮৪ সালের নির্যাতন বিরোধী কনভেনশনে মৃত্যুদণ্ডকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ এসব দলিলে স্বাক্ষরকারী দেশ।