আমি দুঃখের প্রদীপ জ্বেলে সুখের সাঁতার কাটি
তোমার অন্ধকারে, কিন্তু সেখানে তুমি ছিলে না কোথাও,
ছিল কেবল মবমণ্ডিত পোকা–মাকড়।
আমি আমার সমস্ত জীবন ঝিনুকের বুকে ক্ষত বিক্ষত
রক্তাক্ত করে কেবল মুক্তোর মালার সুতো খুঁজেছি,
পৌরষ জীবন বেঁধে রাখবো বলে তোমার কণ্ঠ কোঠরে,
কিন্তু এতো লাল রক্তে তুমি নেশাসাক্ত ছিলে যে,
নিজেকে আর বাঁচাতে পারিনি কোন নিয়মে।
শীতবিহীন দুর্বাঘাসে জল ঢেলে আমি কেবল পচে গেছি
অনাদরে অবহেলায় এক মুঠো সোনালী কিরণের লোভে,
কিন্তু গোটা পৃথিবীর সবুজে সবুজে কোন অতলে ছিলে না তুমি,
আমি নিজেকে আর কোন চমকে ঝমকে সামলাতে পারিনি,
তাহলে কি করে বাঁচি বলো?
সব সিন্দুকের একটাই মুখ।
সে মুখের চাবি তোমার আঁচলে বাঁধা ছিল হে নিষ্ঠুরতমা!
তুমি কি আর কোনদিন খুলবে না সে রেশমী আঁচল,
আমি কি আর ছুঁতে পারবো না কোনদিন,
পৃথিবীর ধ্বংসের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়েও সে মায়াবী চাবি?







