প্রচারণার পঞ্চমদিন গতকাল মঙ্গলবার দিনভর নগরীর ১৩ নং পাহাড়তলী ও ১৪নং লালখান বাজার ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। গণসংযোগকালে বিভিন্ন স্পটে পথসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। দলীয় কর্মীদের সাথে নিয়ে সাধারণ লোকজনের সাথে কুশল বিনিময় করে ভোট চান ধানের শীষ প্রতীকে। বিলি করেন প্রচারপত্র।
লালখান বাজার ওয়ার্ডের পথসভায় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ডে বিপুল সংখ্যক ভাসমান বস্তিবাসী বসবাস করেন। গরীব, অসহায়, দিনমজুর মানুষগুলো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে মানবেতর জীবনযাপন করেন। প্রতিবছর বর্ষাকালে পাহাড় ধসে অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। নির্বাচিত হলে গৃহহীন বস্তিবাসীর জন্য সিটি কর্পোরেশনের অধীনে আবাসনের ব্যবস্থা করে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেব। এর আগে পাহাড়তলী ওয়ার্ডের পথসভায় তিনি নগরে একটি আধুনিক বিশেষায়িত করোনা মহামারী হাসপাতাল এবং একটি ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাকরাসহ সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগকে ঘিরে বিভিন্ন উন্নয়ন করার প্রতিশ্রুতি দেন। ডা. শাহাদত গতকাল দুপুরে পাহাড়তলী আমবাগান জনতা ব্যাংকের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করে ফ্লোরাপাস রোড, সর্দারনগর, ঝাউতলা বাজার, ঝাউতলা কলোনি, ওয়ার্লেস মোড় হয়ে সেগুন বাগান এলাকায় এসে পথসভায় মিলিত হন।
গণসংযোগকালে তিনি ওয়ার্লেস মোড়ে ধানের শীষ প্রতীক ও বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম দুলালের ঘুড়ি প্রতীক এবং মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ছখিনা বেগমের মোবাইল প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করেন।
এদিকে বিকেলে টাইগারপাস মামা ভাগিনা মাজারের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করে বাটালী হিল রোড হয়ে মতিঝণার্, লালখান বাজার মোড়, চানমারী রোড, ডেবার পাড়, বায়তুল আমান রোড, খাজা গরীবুল্লাহ রোড, কুসুমবাগ আবসিক রোড হয়ে গরীবুল্লা শাহ (রহ.) মাজারের সামনে পথসভায় মিলিত হন।
পথসভায় নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘আসন্ন মেয়র নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য বিভিন্ন সরকারি অফিসে বসে আওয়ামী লীগ নেতারা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এসব প্রসাদ ষড়যন্ত্র করে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা যাবে না। অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে যোগ্য প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনকে নির্বাচিত করতে হবে।’
গণসংযোগে অংশ নেন পাহাড়তলী ওর্য়াড কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, লালখান বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল হালিম, শাহ আলম, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মনোয়ারা বেগম মনি ও ছখিনা বেগম, বিএনপি নেতা অ্যাড. আবদুস সাত্তার, এস কে হুদা তোতন, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, মো: কামরুল ইসলাম, ইউসুফ জামাল, আবদুল হালিম স্বপন, ইউসুফ আলী, অ্যাড. আবুল কাশেম মজুমদার, নাছিম আহমেদ, জাহিদ মাস্টার, এস এম আজাদ, মো: গোফরান, বেলায়েত হোসেন বুলু, তোফাজ্জল হোসেন, আসাদুজ্জামান দিদার, মো: শরীফ উল্লাহ, এন আই চৌধুরী মাসুম, আমান উল্লাহ আমান, নজরুল ইসলাম বাবু, আব্দুল হামিদ পিন্টু, শরীফ হায়দার শিবলু, জিয়াউর রহমান জিয়া, হেলাল হোসেন, শাহজালাল পলাশ, তানভীর মল্লিক, হায়দার আলী, আবদুল আওয়াল টিপু, মাহফুজুর রহমান বাবু, মোহাম্মদ মিয়া, নবী হোসেন, রফিকুল ইসলাম, গুলজার হোসেন মিন্টু, গোলাম সরওয়ার, আবদুল হালিম গুড্ডু, ওয়াকিল আহমেদ, আকতার হোসেন, এমদাদুল হক স্বপন, সাইফুল ইসলাম, লুৎফর রহমান, নুরুল আলম, আবুল কালাম, আর সি মল্লিক, ইউনুস মুন্না, মো: সাইফুল, মো: মিল্টন, দেলোয়ার হোসেন, নাছির উদ্দীন পিন্টু, কামাল হোসেন, সৈয়দ হাসানুল করিম ফারজু, বাদশা আলমগীর, ওমর ফারুক, আবদুস সাত্তার, মো: সুমন, মো: জসিম, আবদুর রহমান, সোহেল রানা বাবু, মো: পারভেজ, মো: আমিন, আবদুল্লা কালু, মো: আজাদ, মো: রহমান, মো: মাসুদ, মো: জাবেদ, মো: আশিক, মো: রবিউল, ইয়াছিন, আলম, তানভীর, নাজির, বেলাল হোসেন প্রমুখ।