নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে দেশ কোন দিকে যাবে : সিইসি

| মঙ্গলবার , ৪ নভেম্বর, ২০২৫ at ৮:১৫ পূর্বাহ্ণ

ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কোন পথে যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় থাকার কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ একটা খুব সংকটময় পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আছে। জাতি হিসেবে, দেশ হিসেবে কোন দিকে যাব, গণতন্ত্রের পথে কীভাবে হাঁটব, সবকিছু নির্ভর করছে আগামী নির্বাচনের ওপর।

গতকাল সোমবার ঢাকার ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিইসি। এ দেশের নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকের আলাদা দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সিইসি বলেন, ভবিষ্যতের জন্য কী বাংলাদেশ রেখে যাব, কোন ধরনের বাংলাদেশ রেখে যাব, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রেখে যাব কিনা, কীভাবে রেখে যাব, এ চিন্তা আমাকে সারাক্ষণ ভাবায়। এটাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে রুটিন দায়িত্ব হিসেবে নিইনি, চাকরি হিসেবে নিইনি। এটাকে আমি মিশন হিসেবে নিয়েছি, চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। খবর বিডিনিউজের।

আগামী নির্বাচনে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘বিশাল ভূমিকা’ থাকবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বলতে দ্বিধা নেই, বাহিনী হিসেবে এটাই সর্ববৃহৎ বাহিনী, প্রশিক্ষিত বাহিনী যদি ধরি, সংখ্যার দিক থেকে এটাই সর্ববৃহৎ বাহিনী। ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মূল শক্তি আনসার বাহিনীর সদস্যরা। তারাই অধিক সংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। আগামীতে যারা ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিত হবেন। তাদের ওপর আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের একটা দায়িত্ব এসে পড়েছে। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে গতিপথ নির্ধারণ হবে, তাতে আনসার বাহিনীর ‘বিশাল ভূমিকা’ থাকবে বলেও মন্তব্য করেন নাসির উদ্দিন।

নির্বাচন সামনে রেখে একযোগে ৭৪টি কেন্দ্রে আনসার বাহিনীর এবং ১৩০টি কেন্দ্রে পুলিশের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলার তথ্য দেন তিনি। সিইসি বলেন, আমি গতানুগতিক ধারার কাজে বিশ্বাসী নই, বিশেষ করে এই ধরনের সংকটময় মুহূর্তে, ক্রিটিক্যাল অবস্থায় দেশ যখন রয়েছে, এখানে আমাদেরকে গতানুগতিক ধারায় কাজ করলে হবে না। আউট অফ দ্যা ওয়েতে গিয়ে আমাদেরকে কাজ সমাধান করতে হবে।

নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবমিলায়ে অন্তত ১০ লাখ লোক মোতায়েন থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা নির্বাচনের ডিউটিতে থাকে, সাধারণত তারা মূলত নিজেরাই ভোট দিতে পারে না। আমরা এবার একটা উদ্যোগ নিয়েছি, যাতে করে আপনারা যারা ভোটের ডিউটিতে থাকবেন, তারা যাতে ভোটটা দিতে পারেন।

সেজন্য ১৬ নভেম্বর একটি অ্যাপ চালু করা হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, আপনারা রেজিস্ট্রেশন করে নেবেন। আপনাদের বাড়ির ঠিকনায় ব্যালট পৌঁছে যাবে। নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটটা দিতে পারবেন। যারা নিজের এলাকার বাইরে থাকেন, তারাও ভোট দিতে পারবেন। যারা জেলে আছেন, তারাও এদেশের নাগরিক। তারাও যাতে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। এছাড়াও প্রবাসী ভোটরাও এবার ভোট দিতে পারবেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে কোনো কিছু ‘শেয়ার’ করার আগে সত্যমিথ্যা যাচাই করে নেওয়ার আহ্বান জানান সিইসি। তিনি বলেন, এসব যাচাই বাছাইয়ের জন্য ইসিতে একটি সেল খোলা হয়েছে, প্রয়োজনে সেখানে যোগাযোগ করে সত্যমিথ্যা যাচাই করে নেওয়া যাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপির জ্যেষ্ঠ কেন্দ্রীয় নেতাদের কারা প্রার্থী, বাদ গেলেন যারা
পরবর্তী নিবন্ধ৬৩ আসন ফাঁকা, শরিকদের অপেক্ষায় রাখল বিএনপি