নির্বাচনে আসতে বিএনপিতে শত শত সাত্তার তৈরি হয়ে আছে : তথ্যমন্ত্রী

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৫ মার্চ, ২০২৩ at ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আগামী নির্বাচনে না আসলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে বিএনপি। তবে বিএনপি নির্বাচনে না আসলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উকিল আব্দুস সাত্তারের মতো বিএনপির কত শত আব্দুস সাত্তার তৈরি হয়ে আছে নির্বাচনে

 

আসার জন্য। বিষয়টি মাথায় রাখার জন্য গয়েশ্বর বাবুসহ বিএনপি নেতাদের অনুরোধ জানাই।

গতকাল বিকালে নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে সদ্য প্রয়াত দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদের শোক সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, কাগজে দেখলাম বিএনপির স্থায়ী কমিটির অস্থায়ী সদস্য

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আগামী নির্বাচনে নাকি বিএনপি না আসলে আওয়ামী লীগ অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে আসে নাই, আওয়ামী লীগ অস্তিত্ব সংকটে পড়ে নাই। বিএনপিই অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। ২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনী ট্রেনের পাদানিতে চড়ে নির্বাচনে গিয়েছিল এবং

মাত্র ছয়টি সিট পেয়েছিল। আওয়ামী লীগের কোনো অসুবিধা হয় নাই, বরং বিএনপিই অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সব সদস্য অস্থায়ী; শুধুমাত্র বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান স্থায়ী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মোছলেম উদ্দিন আহমদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, মোছলেম উদ্দিন আহমদ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। যুদ্ধকালীন আমাদের প্রয়াত আরেক নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তারপর দুজনেই পাগলের অভিনয়

করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাত থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। মুক্তি পাবার পর আবার মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। তিনি রাজপথ থেকে গড়ে ওঠা নেতা। অসময়ে আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি দীর্ঘ দুই বছর ক্যান্সার আক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু তাকে দেখে মনে হয়নি তিনি অসুস্থ। তার মনোবল অটুট ছিল। তিনি মৃত্যুর

আগ পর্যন্ত দলের জন্য কাজ করে গেছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে অর্থ দিয়ে রাজনীতিতে পদপদবী কেনার অপচেষ্টা হয়। পদপদবী নিয়ে এসে নেতা হবার অপচেষ্টা করা হয়। মোছলেম উদ্দিন আহমদ তা ছিলেন না। তিনি পদপদবী নিয়ে রাজনৈতিক নেতা হন নাই, কর্মী থেকে রাজনীতির নেতা হয়েছেন। আমাদের দলের জেলা পর্যায়ে এ ধরনের

অনেক নেতা আছেন। তারা আমাদের দলের জন্য সম্পদ। তারাই এই দলটাকে ধরে রেখেছেন। মোছলেম উদ্দিনের জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। কারণ তিনি কর্মী থেকে নেতা হয়েছেন। কর্মীদের সাথে কীভাবে মিশতে হয়, একাকার হয়ে যেতে হয়, তার রাজনৈতিক জীবন থেকে বর্তমান রাজনৈতিক কর্মীদের অনেক কিছু শেখার আছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাসপাতালে স্বজনদের আর্তনাদ
পরবর্তী নিবন্ধভুট্টো-ইয়াহিয়ার পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক