যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনি দৌড় থেকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরে যাওয়ার পর তার জায়গায় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার পথে রয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তিনি ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় ডেলিগেটদের সমর্থন পেয়ে গেছেন। আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে হ্যারিস বলেছেন, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিপক্ষ ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তারই জয় হবে। হ্যারিসের প্রচারশিবির রোববার থেকে দুইদিনের মধ্যে ১০ কোটি ডলার অর্থ সংগ্রহ করেছে। খবর বিডিনিউজের।
রোববার থেকে হ্যারিস শিবিরকে অনুদান দিয়েছে ১১ লাখ দাতা। আর দাতাদের ৬২ শতাংশই প্রথমবারের মতো অনুদান দিয়েছেন। হ্যারিস এরই মধ্যে উইসকনসিনের মিলওয়াকিতে প্রথম নির্বাচনি প্রচার সমাবেশ করেছেন। ডেলিগেটদের সমর্থন জোগাড়ে তিনি প্রচারশিবিরের সদরদপ্তরও পরিদর্শন করেন। সেখানেই দশর্কশ্রোতাদের উদ্দেশে বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরাই জিতব। ওদিকে, প্রচারশিবিরের সবাইকে হ্যারিসকে স্বাগত জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
প্রচার শিবিরে এক ভাষণে তিনি বলেন, দলের টিকিটের শীর্ষ নামটি বদলে গেছে। কিন্তু দলের লক্ষ্য আদৌ পরিবর্তন হয়নি। আর আমিও কোথাও যাচ্ছি না। আমি তার (হ্যারিস) সঙ্গে নির্বাচনি প্রচারেই আছি। বয়সের ভারে দুর্বল হয়ে পড়া প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ওপর সমপ্রতি নিজ ডেমোক্র্যাট দল থেকেই নভেম্বরের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনি দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ জোরদার হচ্ছিল।
প্রতিপক্ষ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে গত জুনে মুখোমুখি বিতর্কে খারাপ ফল করার পর থেকেই বাইডেনের ওপর সরে যাওয়া নিয়ে চাপ সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে গত সপ্তাহে বাইডেন নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর সে চাপ আরও জোরদার হয়। ক্রমাগত চাপের মুখে বাইডেন গত রোববার সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বলেন, দল ও দেশের স্বার্থেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ট্রাম্প এরই মধ্যে বলেছেন, বাইডেনের তুলনায় কমলা হ্যারিসকে নির্বাচনে হারানো তার জন্য বেশি সহজ হবে। তবে কমলা হ্যারিস একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী, কৃষ্ণাঙ্গ এবং প্রথম একজন এশীয় হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন। এবারও যদি হ্যারিস নির্বাচনে জয় পান তাহলে নতুন আরেক ইতিহাস গড়বেন তিনি।