নগরীর কাজির দেউড়ি এলাকায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। গত ২০ জানুয়ারি রাতে হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। গতকাল শুক্রবার তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি কোতোয়ালী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- চন্দনাইশ থানাধীন পূর্ব কেশুয়া এলাকার বদিউল আলমের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (৩৫), মহেশখালী থানাধীন সাইটপাড়া এলাকার রফিক আহমদের ছেলে মো. আজিজ (২৬), আনোয়ারা থানাধীন পূর্ব বড়ইয়া এলাকার এসএম বদরুদ্দোজার ছেলে এসএম তারেকুর রহমান রাকিব (২২), উখিয়া থানাধীন মরিচ্যা পাগলির বিল এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (৩৫), পটিয়া থানাধীন দক্ষিণ আশিয়া এলাকার মো. জিয়াউদ্দিন বাবলু (২৬) ও রাউজান থানাধীন গহিরা বদুরঘোনা এলাকার হাসানের ছেলে রাশেদুজ্জামান (৩৩)।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন আজাদীকে বলেন, কাজির দেউড়ি এলাকায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলাও রয়েছে। এর আগে এ মামলায় আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার চারজন হলো- কোতোয়ালী থানাধীন বদরপাতি খান বাড়ি এলাকার আবুল কালাম হানিফের ছেলে আলী হাসান রাজু (৪৫), একই এলাকার সেকান্দার মিয়ার ছেলে মো. মিন্টু প্রকাশ মিনু (৩৭), কলাবাগিচা শুটকিপট্টি এলাকার মো. ইসলামের ছেলে মো. নাছির (৪৫) ও পাথরঘাটা শেখ পাড়া এলাকার তোফায়েলের ছেলে কায়সার (৪০)।
কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে পটিয়ার জিয়াউদ্দিনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা আছে। চন্দনাইশের আলমগীর হত্যা মামলার আসামি। তদন্তে জানা যায়, তারা বুধবার রাতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ক্যাম্প ভাঙচুরে অংশ নেয়। বৃহস্পতিবার তারা যুবদলের একটি মিছিলে অংশ নেয়। যুবদলের ওই মিছিলে আরও বিপুল সংখ্যক বহিরাগত ছিল। নাশকতার মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য এসব বহিরাগতদের নগরীতে জড়ো করা হয়েছিল। বুধবার রাতে গ্রেপ্তার হওয়া চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ওসি নেজাম।
প্রসঙ্গত: গত ২০ জানুয়ারি বুধবার রাতে নগরীর কোতোয়ালী থানার নুর আহমদ সড়কে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ও কাউন্সিলর প্রার্থী শৈবাল দাশ সুমনের একটি যৌথ নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এরপর সেখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নগর ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মোশারুফুল হক চৌধুরী পাভেল বাদি হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।