পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ। রবিবারের সাধারণ নির্বাচনে তেমন কোনো সহিংসতার সম্ভাবনা নেই এবং এটি শান্তিপূর্ণ হবে। পররাষ্ট্র সচিব বিদেশি সাংবাদিকদের জানান, ‘আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আস্থা ও প্রস্তুতি অনুযায়ী আমরা আসন্ন নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে, সংঘর্ষ যতটা সম্ভব ন্যুনতম রাখার প্রত্যাশা করছি।
গতকাল শুক্রবরি সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নির্বাচন কাভার করতে আসা বিদেশি সাংবাদিকদর সম্মানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব এসব কথা বলেন। মাসুদ বলেন, বাংলাদেশ একটি জাতি হিসেবে গণতান্ত্রিক চর্চায় বৈশ্বিক মান অর্জনে সচেষ্ট। খবর বাসসের।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রচেষ্টায় আপনাদেরসহ বিশ্বজুড়ে আমাদের বন্ধুদের কাছ থেকে সহায়তা সমর্থন চাইছি। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি এটি একটি গণতান্ত্রিক সমাজ গড়তেও সফল হবে যা নিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গর্ব করবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, আশা করি সকলের প্রচেষ্টায় আপনারা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হবেন। তিনি বলেন, সমপ্রতি এমনকি পশ্চিমের পরিণত গণতন্ত্রেও ফাটল দেখা যাচ্ছে।
‘তাই, স্বাভাবিকভাবেই অনুমেয় যে, কোনও রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিখুঁত নয় এবং সেই অর্থে কোনও গণতন্ত্র পরিপক্ক নয়’বলেন তিনি।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সাংবিধানিক বিধি–বিধানের প্রতি শ্রদ্ধা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এবং ভোটাধিকারের নিরবচ্ছিন্ন প্রয়োগ নিশ্চিত করা মানবাধিকারের রীতি–রেওয়াজ ও চর্চা প্রতিষ্ঠার মূল চাবিকাঠি বলে বিশ্বাস করে সরকার।
তিনি বলেন, কিছু বিরোধী দলের এক দফা অসাংবিধানিক দাবি সত্ত্বেও সরকার সংবিধান অনুযায়ী জনগণের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মাসুদ বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে এবং আসন্ন নির্বাচন পরিচালনায় প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সরকার তার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার অধীনে সক্রিয়ভাবে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার প্রসার উৎসাহিত করে এবং গণতন্ত্রকে সুসংহতকরণের অপরিহার্য পূর্বশর্ত হিসাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করে। তিনি বলেন, সরকার নির্বিচারে প্রেসের ওপর কোনো বিধিনিষেধ বা সীমাবদ্ধতা আরোপ করে না বা তাদের কার্যক্রম বা ব্যবস্থাপনায় হস্তক্ষেপ করে না।
বর্তমানে দেশে প্রায় ৩,১৯৫টি প্রিন্ট মিডিয়া এবং ১০৩টি ইলেকট্রনিক মিডিয়া আউটলেট রয়েছে। দেশে মোট ৪৯টি টিভি চ্যানেল রয়েছে। এর মধ্যে ৪৫টি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ও পরিচালিত। এছাড়া ২২টি এফএম রেডিও স্টেশন ও ১৮টি কমিউনিটি রেডিও স্টেশন রয়েছে।