নির্বাচন যত দেরি হবে, দেশ তত পিছিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, নির্বাচন দেরি হলে বিনিয়োগ থেমে যাবে, নারী–শিশুর নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে, বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতি ঘটবে। অতএব এখন প্রয়োজন একটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার। নির্বাচিত সরকারের চেয়ে কোনো সরকার শক্তিশালী হতে পারে না। তাই নির্বাচন জরুরি। তবে নির্বাচন যত দেরি হবে, দেশ তত পিছিয়ে যাবে। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল সোমবার বিকালে সিলেট নগরের দরগাহ গেটে হোটেল স্টার প্যাসিফিকের হলরুমে জেলা বিএনপি আয়োজিত জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ, তাদের স্বজনদের প্রতি সম্মান জানিয়ে স্মরণ ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এমনিতেই হাসিনা পালিয়ে যাননি। বহু মানুষের আত্মত্যাগ, রক্ত, সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছি। আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি। আমরা এমন একটি রাষ্ট্র চাই, যেখানে জনগণ মত প্রকাশে স্বাধীন থাকবে, নারীরা নিরাপদে চলাফেরা করতে পারবে, তরুণরা কর্মসংস্থান পাবে, জনগণ চিকিৎসার সুযোগ পাবে। আমার একটি কল্যাণমুখী দেশ গঠনে নতুন করে আন্দোলন শুরু করেছি; যার নেতৃত্বে আছেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় নেত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখনও অসুস্থ অবস্থায় আমাদের প্রেরণা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। এখন আর কেবল কথার রাজনীতি নয়, এখন সময় কাজের। ত্যাগ ও রক্তের মধ্য দিয়ে আমরা ফ্যাসিস্ট শাসনের অবসান ঘটিয়েছি। ১৫ বছরে এই শাসকগোষ্ঠী প্রায় ২০ হাজার মানুষকে ‘হত্যা’ করেছে। শুধু জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ৩৬ দিনে দুই হাজার মানুষ শহীদ হয়েছেন। শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক ও রাজনৈতিক দায়িত্ব।
গণ–অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসন, সন্তানদের শিক্ষার নিশ্চয়তা ও ভবিষ্যতের নিরাপত্তা নিশ্চিতেরও কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি নতুন, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে; যেখানে সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে। আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক, অর্থবহ নির্বাচন চাই, যে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।