নির্বাচন দিতে তালবাহানা করলে বিএনপি আবার রাজপথে নামবে

বান্দরবানে যুগ্ম মহাসচিব সোহেল

বান্দরবান প্রতিনিধি | সোমবার , ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৮:৩১ পূর্বাহ্ণ

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবউন নবী খান সোহেল বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে চান, যারা এ ধরনের উদ্ভট প্রস্তাব দেন, তাদের জিজ্ঞেস করতে চাই, বাবার আগে কি সন্তানের জন্ম হয়? উদ্ভট প্রস্তাব দিবেন না। মাঝেমধ্যে আপনাদের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয়, আপনাদের ওপরে জঙ্গি ভূত ভর করেছে। এই জঙ্গিরা কিন্তু নির্বাচনে বিশ্বাস করে না, এরা রগ কাটায় বিশ্বাস করে।

নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা, ফ্যাসিস্টদের রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলাসহ জনবান্ধব বিভিন্ন দাবিতে গতকাল রোববার বান্দরবানের রাজার মাঠে আয়োজিত বিএনপির জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অন্তর্বর্তী সরকারকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ওরা নির্বাচনের কথা বললেও নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইবে, নির্বাচন নষ্ট করে দিতে চাইবে। আপনারা যদি তাদের খেলায় নিজেদের শরিক করেন, তাহলে ভয়ঙ্কর পরিণতি কিন্তু অপেক্ষা করছে। বিএনপি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, তেমনি আন্দোলনের জন্যও প্রস্তুত। এখনও পর্যন্ত আমরা মনে করি, . ইউনূস সাহেব এসেছেন; একজন ভালো মানুষ; পরিচ্ছন্ন নির্বাচন দিবেন। আগামীতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়াটাই ভালো। কিন্তু আমরা যদি দেখি, আপনারা ওই জঙ্গি ভূতের খপ্পরে পড়ে নির্বাচন দিতে তালবাহানা করছেন, তাহলে ষোল বছরের ভোটের অধিকার বঞ্চিতদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে বিএনপি আবারও রাজপথে আন্দোলনে নামবে।

হাবিবউন নবী খান সোহেল বলেন, আমরা পাহাড়সমতল যেখানে যারা থাকি, মারমা, চাকমাসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী, আমরা সবাই বাংলাদেশি, আমরা সকলে আজ ঐক্যবদ্ধ। আপনাদের মেয়ে হাসিনা পালিয়ে আপনাদের কাছে চলে গেছে, সীমান্তের ওপার থেকে আর বাংলাদেশকে আঙুলের ইশারায় চালানো যাবে না। এখন সীমান্তে আর কোনো বাংলাদেশিকে হত্যা করা যাবে না। যারা হত্যার চেষ্টা করবেন তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে না। আর কোনো ফেলানীকে সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা যাবে না।

প্রধান বক্তা বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, ভোটচোর বীর বাহাদুরের গোটা পরিবার দুর্নীতিবাজ। ফ্যাসিস্ট সরকারের মন্ত্রী বীর বাহাদুর এবং মন্ত্রীর সম্বন্ধী আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। তিনি বলেন, সংস্কারের নামে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কালক্ষেপণ করছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কোনো নির্বাচন বিএনপি হতে দেবে না। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে, নয়ত বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে বসে থাকবে না।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাচিং প্রু জেরীর সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য দেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির উপজাতীয় বিষয়ক সম্পাদিকা মাম্যাচিং, চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনউর রশিদ, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাবেদ রেজা, বিএনপির সিনিয়র নেতা জাহাঙ্গীর আলম, জসিম উদ্দিন তুষার প্রমুখ।

এদিকে জনসভায় বান্দরবান জেলার সাতটি উপজেলা, চৌত্রিশ ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা শাখা বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা যোগ দেন। সাত বছর পর নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর দুই ভাগে বিভক্ত দলের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়েছেন জনসভাস্থলে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজন্মাষ্টমী উদ্‌যাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ২৮ ফেব্রুয়ারি
পরবর্তী নিবন্ধআন্তজার্তিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসে জেলা আইনজীবী সমিতির আলোচনা সভা