কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর উইলেম ভ্যান ডার গেস্তা বলেছেন, নির্বাচন বর্জন দুঃখজনক। বর্জন মানে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না, এই ধারণা সঠিক নয়। নির্বাচন কোনো খেলা নয়। এখানে বর্জন খুব বেমানান। গতকাল সোমবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে দক্ষিণ এশিয়া ডেমোক্রেটিক ফোরামের সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন উইলেম গেস্তা। তিনি বলেন, নির্বাচনে সহিংসতা হয়নি বলে বহু মানুষের জীবন রক্ষা পেয়েছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো সহিংসতা যেন না হয়, তেমনটাই প্রত্যাশা করি। খবর বাংলানিউজের।
উইলেম গেস্তা বলেন, নারীরা তাদের ভোট প্রয়োগ করেছে। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ভোট দিয়েছে, সবাই ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে; এটা সন্তুষ্টির বিষয়। এজন্য নির্বাচন কমিশন ধন্যবাদ পাওয়ার দাবিদার। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে তিক্ততা থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দেন গেস্তা। তিনি বলেন, রাজনীতিক মেরুকরণ খুব তিক্ত একটি বিষয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সবাইকে সমাধানের পথে আসতে হবে, ছাড় দেবার মানসিকতা রাখতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন করায় সবার অংশগ্রহণ ছিল, তাই আমি মনে করি গণতান্ত্রিক পথে থাকতে সবাইকে অংশ নিতে হবে। দক্ষিণ এশিয়া ডেমোক্রেটিক ফোরামের নির্বাহী পরিচালক পাওলো কাজাকা বলেন, কম ভোটারদের উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা পুরো সময় ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত ছিলাম। আমরা সন্তুষ্ট, পুরো নির্বাচন নিয়ে। এই ভোট নিয়ে সমালোচনার কিছু নেই। তবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নির্বাচনগুলো আরও অংশগ্রহণমূলক হবে বলে আমি আশা করছি। কেননা, সবাই নির্বাচন প্রক্রিয়ার অংশ। সবাইকে সহযোগিতার মানসিকতা থাকতে হবে। সবার মধ্যে ভালো মানসিকতা ধারণ করতে হবে। ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মার্ক জ্যাকসন বলেন, আমরা জ্বলন্ত ট্রেনের ধারণা মাথায় রেখে ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম সহিংসতার মতো কিছু হবে। শঙ্কা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আমি উল্লেখ করার মতো যে বিষয়টি বলতে পারি, সেটি হলো মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছে। নিয়ম মেনে প্রত্যেকটি ধাপ সম্পন্ন হয়েছে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য প্রত্যাশিত।