নির্ধারণ করে দেওয়া সময়ে পোর্ট কানেকটিং রোডের (পিসি রোড) সংস্কার কাজ শেষ করতে না পারলে ঠিকাদারকে গণদুশমন হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের তালিকা নগরবাসীর সামনে প্রকাশ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। এছাড়া আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সড়কটির ৭০ শতাংশ কাজ শেষ করতে ঠিকাদারদের সময়সীমা বেঁধে দেন তিনি। এ সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারলে ঠিকাদারকে পুরস্কৃত করারও ঘোষণা দেন।
গত শুক্রবার বিকেলে পোর্ট কানেকটিং রোডের চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। তিন লটে পিসি রোডের উন্নয়ন কাজ করছে রানা বিল্ডার্স ও তাহের এন্ড ব্রাদার্স। প্রশাসক তাহের এন্ড ব্রাদার্সের কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ ও রানা বিল্ডার্সের কাজের ধীর গতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রশাসক সড়কটির উন্নয়ন কাজ, বর্তমান অবস্থা প্রত্যক্ষ করেন এবং জনগণের সাথে কথা বলেন। এ সময় নয়াবাজার বিশ্বরোড এলাকার স্থানীয় দুই বাসিন্দা মনজুরুল আলম ও মো. ইলিয়াছ দীর্ঘ ৪ বছর ধরে সড়কটি ভাঙা থাকায় তাদের দুর্গতির কথা প্রশাসককে জানালে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এই সড়কের কাজ একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঠিকভাবে করলেও অন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে ঢিমেতালে। তাকে সতর্ক করছি। এখন কথা না শুনলে নগরবাসীকে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলব।
প্রশাসক বলেন, নগরীর ৬০ লাখ অধীবাসীর দৃষ্টি এই পিসি রোডের দিকে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে আমি সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তিনি ঠিকাদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন না। পরিদর্শনকালে সড়কের বেশ কিছু স্থানে গর্ত থাকায় তা মেকাডাম দিয়ে ভরাট করে গাড়ি চলাচলের উপযোগী ও ধুলা উড়তে দেখে পানি ছিটাতে ঠিকাদারের লোকজনদের নির্দেশ দেন তিনি। তখন সড়কে বেশ কিছু চলমান কন্টেইনারবাহী লরি থামিয়ে চালকদের কাছে কন্টেইনার ও গাড়ির ওজন কত জানতে চান?
খোরশেদ আলম সুজন বলেন, সাময়িক দায়িত্ব পেয়েও আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি নগরীকে পরিচ্ছন্ন ও মানবিক শহরে পরিণত করতে।