নিরাপদ সড়ক কবে হবে?

| বুধবার , ৩ মার্চ, ২০২১ at ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ

সড়কে প্রতিদিন দীর্ঘ হচ্ছে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর মিছিল। একদিকে পরিবহন খাতের সীমাহীন অব্যবস্থাপনা অন্যদিকে অসচেতনতা সাধারণ মানুষের খামখেয়ালির ফলে সড়ক হয়ে উঠছে ভয়ানক। নিত্যদিন সড়কে ঝরছে তাজা প্রাণ। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে গণপরিবহন ও মোটরসাইকেলে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পত্র-পত্রিকা,টেলিভিশন,রেডিও সহ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে নানামুখী সচেতনতার বার্তা কিন্তু ফলাফল শূন্য।নানাবিধ কারণে সড়কে দুর্ঘটনার এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। অতিরিক্ত যান চলাচল,ভাঙাচোরা রাস্তা, ওভারটেকিং প্রবণতা,ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন যান চলাচল, মাঝপথে যাত্রী ওঠা-নামা, মাদকাসক্ত হয়ে গাড়ি চালানো,অপ্রাপ্ত বয়সে ড্রাইভিং,বেপরোয়া গতি, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন,চালকের অদক্ষতা,প্রতিযোগিতা মূলক যান চালানো ইত্যাদি কারণে দুর্ঘটনা থামছে না। বর্তমানে সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ব্যাপক হারে বাড়ছে। মোটরসাইকেল চালকের অধিকাংশই তরুণ। হেলমেটবিহীন খেয়ালখুশি মতো বাইক চালানো, ওভারটেকিং, উচ্চগতি, ঘন ঘন লেন পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে সড়কে দুর্ঘটনায় ঝুঁকি বাড়াচ্ছে মোটরসাইকেল। রোডটি সেফটি ফাউন্ডেশনের ‘সড়ক দুর্ঘটনার বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২০’ অনুযায়ী গেল বছর সড়ক দুর্ঘটনা প্রাণ হারায় পাঁচ হাজার ৪৩১ জন।এছাড়া গত বছর এক হাজার ৩৭৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক হাজার ৪৬৩ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পেছনে ব্যক্তি সচেতনতার অভাব ও বিশেষভাবে দায়ী। অধিকাংশ মানুষই ফুটওভার ব্রিজ থাকা সত্ত্বেও জীবনের নিরাপত্তাকে উড়িয়ে দিয়ে মূল সড়ক দিয়েই রাস্তা পার হচ্ছেন।এভাবে চলতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে প্রাণহানির ঘটনা।সড়কে যান চলাচলের মধ্যে গণপরিবহনের সংখ্যা সর্বাধিক কিন্তু এসব গণপরিবহন চালকের সিংহভাগই জানে না ট্রাফিক আইন সম্পর্কে। সড়কে দুর্ঘটনা রোধ ও শৃঙ্খলা ফেরাতে দক্ষ, ট্রাফিক আইন জানা ও দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন সচেতন ও সুশৃঙ্খল চালক তৈরি করতে হবে। এছাড়া দুর্ঘটনা রোধে ব্যক্তি সচেতনতার বিকল্প নেই। একটি পরিসংখ্যান বলছে, সড়কে ৫৪ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে পথচারীদের কারণে। তাই সচেতনতা ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।
আরিফুল ইসলাম, শিক্ষার্থী,বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী,চট্টগ্রাম

পূর্ববর্তী নিবন্ধসুকুমার সেন : বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চিন্তাশীল গবেষক
পরবর্তী নিবন্ধমশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ জনগণ