চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বিএনপির সাবেক বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানসহ সকল ধর্মের মানুষের বসবাস। সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার আছে নিজ নিজ ধর্ম পালনের। আমি আপনাদের সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে একটি সুন্দর চট্টগ্রাম নির্মাণ করতে চাই। আমার এ যাত্রা পথে আপনারা আমার সাথী হবেন সেই আশা রাখি।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে নগরের রহমতগঞ্জ জেএমসেন হল প্রাঙ্গনে “শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৪” উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সনাতনী সম্প্রদায়ের মাঝে উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা প্রতিটি পূজামণ্ডপে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে। আপনাদের ভয়ের কোনো কিছু নাই। এই চট্টগ্রাম হবে নিরাপদ চট্টগ্রাম, সমৃদ্ধির চট্টগ্রাম এবং সম্প্রীতির চট্টগ্রাম। আপনাদের সবাইকে নিয়ে আমি সন্ত্রাসমুক্ত চট্টগ্রাম উপহার দিতে চাই।
তিনি আরও বলেন, যারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম করবে তাদের আইনের আওতায় তুলে দিবেন। আমরা কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিব না। আপনাদের যেকোনো সময়ে, যেকোনো সমস্যায় আমাকে জানাবেন আমি আপনাদের পাশে থাকব। বিএনপি সব সময় ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় পাশে থেকেছে। বিগত দিনের ন্যায় বিএনপি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে রয়েছে। শারদীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে একটি মহল দেশের বাইরে বসে আমাদের সম্প্রীতে আঘাত করতে চায়। আমরা কোনোভাবেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে দেব না। যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করবে, তাদের প্রতিহত করা হবে। সকল ধরনের ষড়যন্ত্র বিনষ্ট করে আমরা এগিয়ে যাব। আমরা সবাই মিলে নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাব।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, পূজা পালনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দেশের মানুষ বিগত ১৭ বছর স্বাধীনভাবে কোন উৎসব করতে পারেনি। চরম জিম্মি দশার মধ্যে কেটেছে এদেশের মানুষের জীবন। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে উৎসব শুরু হয়েছে। জিম্মিদশা থেকে জাতি মুক্তি পেয়েছে। আজকে শারদীয় উৎসব মুক্তির উৎসবে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় প্রতিটি পূজামন্ডপে আমরা সাহায্যের হাত বাড়িয়েছি। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাই এ দেশের নাগরিক। পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিএনপি ও অঙ্গা সংগঠনের লোকজন সদা নিয়োজিত রয়েছে। আপনারা কেউ দুর্বল নন। আপনাদের পাশে বিএনপির নেতাকর্মীরা আছে এবং সব সময় থাকবে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বলের পরিচালনায় এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান বক্কর, বিশেষ অতিথি বীর মুক্তিযুদ্ধা একরামুল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি আব্দুর রাজ্জাক।
আরো উপস্থিত ছিলেন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আর কে. দাশ লিটন, গাজী সিরাজ, কামরুল ইসলাম, মন্জুর রহমান চৌধুরী, জাকির হোসেন, এমএ মালেক, ইসমাইল বালি, বিশ্বজিৎ দত্ত বাবু, জেবিএস আনন্দ বোধি ভিক্ষু, পলাশ চৌধুরী, সৌরভ প্রিয় পাল, বিপ্লব পার্থ, সুমন ঘোষ বাদশা, সুজন দাশ, অপু চৌধুরী, সুব্রত আইচ, বিপ্লব চৌধুরী বিল্লু, আবু মোহাম্মদ মহসীন চৌধুরী প্রমুখ।