জীবনে মাতৃত্বের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আর কিছুই হতে পারে না। মা–অর্থ জননী, তৃ–অর্থ স্ত্রীলিঙ্গ, ত্ব– অর্থ স্বভাব/গুণ। এক কথায় বলা যায় মাতৃত্ব মানে নারীর স্বভাবজাত গুণ। বারবারা কিংসোলভার বলেন,‘মাতৃত্বের শক্তি প্রাকৃতিক নিয়মের চেয়ে বেশি’। আবার, রিকি লেক বলেন, ‘মাতৃত্ব সবচেয়ে বড় জিনিস এবং সবচেয়ে কঠিন জিনিস’। এমনি করে যুগে যুগে অনেক মনীষী, মহান ব্যক্তিগণ মাতৃত্ব নিয়ে বিভিন্ন উক্তি দিয়ে গেছেন। কিন্তু বাস্তবে নিরাপদ মাতৃত্বকে আরো নিরাপদ করে তুলতে পরিবার, সমাজের ভূমিকা বেশি গুরুত্ব পায়। নিরাপদ মাতৃত্ব বলতে মায়ের প্রতি সম্মান। নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস প্রতিবছর ২৮ মে পালন করা হয়। ১৯৯৭ সাল থেকে দিবসটি আমাদের দেশে পালন করা হচ্ছে। নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে থাকে। একজন মা এবং বাচ্চার সুস্থতার জন্য উচ্চমানের সেবার নিমিত্তে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেটাই নিরাপদ মাতৃত্ব। নিরাপদ মাতৃত্ব ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য হলো মাতৃ মৃত্যু হার কমানো এবং নবজাতকের মৃত্যু ও দীর্ঘ মেয়াদি অসুস্থতা রোধ করা। একজন নারীর গর্ভকালীন সময় হতে সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর ৬ মাস সময়কাল পর্যন্ত মা ও শিশুর যত্নকে গর্ভকালীন যত্ন বলে। তাহলে বলা যায়, নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য ৩টি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।
১) গর্ভকালীন যত্ন ২) প্রসবকালীন যত্ন ৩) প্রসব পরবর্তী যত্ন।
আমাদের দেশে শুধু শহরগুলোতেই নয়, গ্রাম–গঞ্জে সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক সেবা চালু করার পর মা ও শিশুর প্রাণ ঝুঁকিপূর্ণ হতে রক্ষা পাচ্ছে। নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত হলে একজন মা ও শিশুর ভবিষ্যত সুন্দর ও সাবলীল হবে। সে সাথে একটা পরিবারের, সমাজের, রাষ্ট্রের ভবিষ্যতও নিরাপদ হবে।