নগরীর পাহাড় থেকে গতকাল রোববার নতুন করে আরো ৫০০ পরিবারকে সরিয়ে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এরমধ্যে লালখান বাজারের মতিঝর্ণা থেকে তিনশ এবং আকবরশাহ’র বিজয় নগর, ঝিল–১, ঝিল–২, ঝিল–৩ ও বেলতলিঘোনার পাহাড় থেকে সরানো হয়েছে বাদবাকী ২০০ জনকে। চলমান ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড়ে ও পাহাড়ের পাদদেশে থাকা লোকজনের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এর আগে গত শনিবার মতিঝর্ণা, বিজয় নগর ও ঝিল এলাকা থেকে তিনশ লোককে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়। শনিবার ও গতকাল মিলিয়ে মোট ৮০০ পরিবারকে পাহাড় থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সরিয়ে নেয়া এই ৮০০ পরিবারের মধ্য একশ পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। এসব পরিবারের জন্য আশ্রয় কেন্দ্রে শুকনা খাবার থেকে শুরু করে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে লোকজন যাতে পাহাড় ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নেয় তার জন্য পাহাড়ে পাহাড়ে মাইকিং কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখা হয়েছে। চলমান আবহাওয়ার মধ্যে পাহাড়ে থাকলে মৃত্যুর শঙ্কা থাকার বিষয়টি লোকজনকে বুঝাচ্ছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাট্টলী সার্কেলের এসিল্যান্ড ওমর ফারুক বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড় ধসের শঙ্কা থাকে। পাহাড় ধস হলে লোকজনের ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা থাকে। পাহাড়ে যারা রয়েছে তাদেরকে আমরা বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টা করছি। তাদেরকে নিরাপদে সরে যেতে বলছি। লোকজনও বিষয়টি বুঝতে পারছে। এ পর্যন্ত আমরা ৮০০ পরিবারকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছি। এসব পরিবারে অসংখ্য শিশু রয়েছে। নারীর সংখ্যাও বেশি। আমাদের মাইকিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি আরো বলেন, লোকজন সচেতন না। সচেতন হলে বুঝানোর প্রয়োজন হয় না। যার কারণে আমরা প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে গিয়ে লোকজনকে বুঝিয়ে নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছি। অনেকে নিজেদের আত্মীয়–স্বজনের কাছে আশ্রয় নিয়েছে। জেলা প্রশাসনের আশ্রয়কেন্দ্রেও যাওয়া–আসার মধ্যে রয়েছে অনেকে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০০ পরিবারের অসংখ্য লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে ছিল। নগরীতে মোট ১৯ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলেও জানান ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, পাহাড়ে যাতে মানুষকে আর প্রাণ না দিতে হয় সে জন্যে আমরা কাজ করছি। মাইকিং থেকে শুরু করে সকলকে সচেতন করার লক্ষ্যে প্রতিদিন জেলা প্রশাসনের টিম কাজ করছে।







