সিটি কর্পোরেশনের আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে চট্টগ্রাম মহানগরীকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। শুধু সিএমপির পুলিশই নয়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের এক হাজারসহ সারাদেশ থেকে আনা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবি টহল থাকবে নগর জুড়ে। ইতোমধ্যে ২৫ প্লাটুন বিজিবি নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। নগরীর সাড়ে ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে চৌদ্দ হাজার লোকবল আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে দায়িত্ব পালন করবে। এর বাইরেও বিপুল সংখ্যক পুলিশ স্বাভাবিক পুলিশি কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকবে। বিজিবি, র্যাব, পুলিশ এবং আনসার সদস্যসহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বিপুল সংখ্যক ফোর্সের সার্বক্ষণিক নজরদারিতে সুরক্ষিত নগরী।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশ (সিএমপি) সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বহুল প্রত্যাশার নির্বাচনকে ঘিরে নগরজুড়ে সর্বাত্মক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্রের প্রতিটির ব্যাপারেই সর্বাত্মক সতর্কতা অবলম্বন করে নিরাপত্তা ছক তৈরি করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪২৯টি ভোটকেন্দ্রকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে ফেলা হচ্ছে। এগুলোর প্রতিটিতে ৬ জন করে পুলিশ, দুইজন পিসি এপিসি এবং দশজন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। এর বাইরে ৩০৬টি কেন্দ্রের প্রতিটিতে ৪ জন পুলিশ, পিসি এপিসি ২ জন এবং ১০ জন আনসার মোতায়ন করা হচ্ছে। এর বাইরে ১৪০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স গঠন করা হয়েছে। এগুলোতে ৪১০ জন পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা থাকবেন। ৪১টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ১২ জন করে র্যাব সদস্যের টহল দলের পাশাপাশি ২৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়ন থাকছে।
নির্বাচন উপলক্ষে ৪১০টি মোবাইল টিম, ১৪০ স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং ৭৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকছেন। প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ থাকবেন। বিজিবির প্রতি প্লাটুনের সাথে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। র্যাব সদস্যদের সাথেও তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। গতকাল থেকে শুরু করে চারদিন আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশাল বহর নগরীতে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করবে। ১৪ হাজার ৩৭০ জন ফোর্সের এই নিরাপত্তা ছাদর নগরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলেও সিএমপির শীর্ষ একজন কর্মকর্তা জানান। তিনি বলেন, ভোটে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সুযোগ কাউকে দেয়া হবে না। কেন্দ্র দখল বা ভোটকেন্দ্রে যেতে কাউকে বাধা দেয়া হলে পরিণতি খারাপ হবে।
নগর পুলিশের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা গতকাল দৈনিক আজাদীর সাথে আলাপকালে বলেন, ভোটোৎসবের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। উৎসবের এই আমেজ কাউকে নষ্ট করতে দেয়া হবে না। যে কোনো মূল্যে সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে বলে তারা উল্লেখ করেন।