প্রতিবছরের মতো এই বছরেও নিয়ম করে দেশের বিভিন্ন স্থানে গরু–ছাগলের হাটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইতোমধ্যেই কোরবানির পশুর হাট স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এর পাশাপাশি চাই পূর্ণ নিরাপত্তা যেন ক্রেতা অথবা বিক্রেতা কারোই দুর্ভোগ পোহাতে না হয় পশু হাটে।
দেশের প্রত্যেকটি হাটে যদি স্বেচ্ছাসেবী দল নিয়োগ করা হয় এবং অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি পাহারারত অবস্থায় থাকে তাহলে হাটের নিরাপত্তা আরও অধিক বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয় নিরাপত্তা আরও বেশি জোরদার করতে হাটগুলোর প্রত্যেকটি স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো যেতে পারে, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে রেহাই পেতে পর্যাপ্ত আলোকসজ্জার ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ। কারণ, রাতের দিকে হাটগুলোতে আলোর ঘাটতি থাকলে গরু চুরি কিংবা ডাকাতির সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। এর পাশাপাশি, বেপারি কিংবা ক্রেতা যে কেউ–ই সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে। আরেকটি ব্যাপারে খেয়াল রাখা অতীব জরুরি ক্রেতা প্রবেশ এবং বাইরের জন্য আলাদা পথ নিশ্চিত করা। এতে করে বিশৃঙ্খলা কম হবে এবং যেকোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা থেকে মানুষ রেহাই পাবে।
হাটের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক দেশের প্রত্যেকটি হাটে। হাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে মানুষ ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবে এবং কোরবানির পুরো প্রক্রিয়াটি হবে ঝুঁকিমুক্ত এবং নিশ্চিন্ত। তাই কর্তৃপক্ষের নিকট আহ্বান করবো যেন দেশের প্রত্যেকটি হাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং কোরবানির পথ হোক সুষ্ঠু এবং মসৃণ।
সামিন ইয়াসার
শিক্ষার্থী
ব্যাচেলর অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি