বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক এখনও শেষ হয়নি । চলতি বছরের নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ তুলেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। ৩০ জানুয়ারি বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন করেন নিপুণ। সেখানে এই অভিনেত্রী জানান, তাকে চুমু খেতে চেয়েছিলেন পীরজাদা। যা নিয়ে গোটা চলচ্চিত্রপাড়ায় হইচই পড়ে যায়। খবর বাংলানিউজের।
অবশ্য সেই নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে নিপুণ ও জায়েদের ভাগ্য এখনো আদালতের রায়ের অপেক্ষায় ঝুলে আছে। এমন সময়ে আবারো আলোচনায় পীরজাদা হারুন ও নিপুণ। এবার নিপুণকে সরাসরি বাজে মেয়ে বললেন পীরজাদা হারুন! এমনটাই লিখে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন তিনি। তার এমন মন্তব্যে অবাক হয়েছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট। তবে পীরজাদা হারুনের পোস্টের পুরোটা পড়ার পর ভুল ভাঙে সবার।
পীরজাদা হারুন লেখেছেন, নিপুন একটি বাজে মেয়ে, তার স্বভাব চরিত্রেও সমস্যা আছে বহুবিধ। তাই সে নিজেকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নিয়োজিত রাখতে না পেরে অস্বাভাবিক পথ বেছে নেয় আর একারণেই কিন্তু তাকে বিতর্কিত হতে হয় প্রায়শঃ। তিনি বলেন, একমাত্র আমিই তার ভবিষ্যতের বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম-কারণ আমি তো বিচারক ছিলাম, আর এই বিচারকগণ বাস্তবতার প্রমাণ, কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেই কিন্তু আদেশ দিয়ে থাকেন আর আমিও নিপুণের বিষয়ে সকলকিছু সঠিকভাবে, ন্যায়সঙ্গতভাবে বিচার ও বিশ্লেষণ করেই আমার আদেশ দিয়েছিলাম, এতে কিন্তু বিন্দুমাত্র আমার কোনো স্বার্থ ছিলো না আর তাতে কে কি বললো, সেটা আমি পরোয়া করি না।
এই অভিনেতা বলেন, আমিই সঠিক ছিলাম আর আমি জানি সঠিক সকল সময়ই সত্য এবং সত্য একদিন প্রকাশ পাবেই, সন্দেহের কোনো কোনো বেড়াজাল যদিও সত্য প্রকাশকে মাঝে মাঝে বিলম্বিত করে ঠিকই কিন্তু তা সাময়িক, পরে কিন্তু আসল সত্যি ঠিকই বের হয়ে আসে। তাই আমিও তার মেয়ের বিষয়ে সঠিক আদেশটিই উন্মুক্ত আদালতে দিয়েছিলাম।