মিরপুর টেস্ট খেলেই দীর্ঘ ফরম্যাটের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা ছিল সাকিব আল হাসানের। পরিবেশ–পরিস্থিতির কারণে সেটা হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েও আরব আমিরাতে থেমে গেছে সাকিবের যাত্রা। সাকিব যেন মিরপুরে টেস্ট খেলতে না পারেন, সেজন্য বিসিবির কাছে স্মরকলিপি দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ। অন্যদিকে সাকিবভক্তরাও তাকে খেলানোর পক্ষে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অবস্থান নিয়েছিলেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা শঙ্কায় বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে দেশে ফিরতে অনুৎসাহিত করে বিসিবি। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের পক্ষে কোনো কথা বলেননি সাকিব। সে কারণেই সাকিববিরোধীতা চরম আকার ধারণ করে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে সাকিবের নানা কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা। সাকিব ইস্যুতে যখন শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আশপাশ উত্তাল, তখন বাঁহাতি অলরাউন্ডারের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে আবুধাবী টি–টেন লিগের দল ‘বাংলা টাইগার্স’। বাংলা টাইগার্সের প্রকাশিত ভিডিওতে সাকিবকে বলতে দেখা যায় আপনি আমাকে পছন্দ করেন অথবা ঘৃণা করেন, এটি নিয়ে আমি ভাবি না। কিন্তু আমার সঙ্গে খেলতে আসবেন না। এবার নতুন করে আরও একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। সাক্ষাৎকারে মিডিয়ার ইতিবাচক ও নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় সাাকিবকে। জানতে চাওয়া হয় এসব সংবাদ তিনি আসলে দেখেন কিনা। সাকিব বলেন মিথ্যা কথা বলবো না যে একদমই দেখি না। সোস্যাল মিডিয়া স্ক্রল করতে করতে দেখা হয়ে যায়। অনেক সময় টিভিতে দেখি। ইচ্ছেকৃতভাবে কোনো মিডিয়াকে দেখি বা ফলো করি, এমন নয়। ইতিবাচক–নেতিবাচক দুইটাই দেখা হয়। তবে আমি এগুলো নিয়ে বেশি ভাবি না। বাংলাদেশ ক্রিকেটকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছেন সাকিব। তবুও কেন এত সমালোচনা? এসব সমালোচনা হওয়া কি আসলেই উচিত? এমন প্রশ্নে সাকিবের উত্তর আসলেই সমালোচনা হওয়া উচিত। ৩৭ বছর বয়সী টাইগার ক্রিকেটার বলেন আমি মনে করি এগুলো হওয়া উচিৎ। আর এগুলো হয়। আমি যদি উদাহরণ দিই, যে গাছে আম বেশি থাকে সে গাছে ইটটাও বেশি পড়ে। যে গাছটা যত উঁচু সে গাছটায় বাতাসও বেশি লাগে। স্বাভাবিকভাবে এগুলো হবে, এগুলোই দুনিয়ার নিয়ম। নেতিবাচক সংবাদ খেলায় প্রভাব ফেলে কিনা, এই প্রশ্নে সাকিব বলেন আমাকে নিয়ে অনেক নেগেটিভ নিউজ হয়েছে, যেটা আমার মনে হয় হওয়া উচিৎ ছিল না।