নিজের ব্যাটিং নিয়ে দারুণ খুশি শামীম

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার , ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ

সেন্ট কিটসের একই উইকেটে হলো সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ। আর এই দুই ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের চিত্রও প্রায় একই। শামীম হোসেন যখন ক্রিজে গেছেন, দলের অবস্থা সঙ্গীন। শতরান পার করতে পারবে কিনা জেগেছিল সে শংকা। চাপের মধ্যেও দুই ম্যাচে সহজাত ব্যাটিং উপহার দিয়ে দলের জয়ে তিনি রেখেছেন বড় অবদান। নিজের ব্যাটিংয়ের ধরন আর দলে ভূমিকা নিয়ে তার চিন্তাটাও খুব স্বচ্ছ। সিরিজ জয়ের পর আগ্রাসী ব্যাটসম্যানের পরিষ্কার কথা, ফিনিশার হিসেবে তার কাজ কেবল বলকে পেটানো। এক বছর পর দলে ফিরে বল পেটানোর কাজটা ভালোভাবে করতে পারছেন শামীম। এক ম্যাচ বাকি রেখেই বাংলাদেশ সিরিজ জিততে পেরেছে মূলত বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে। তবে শামীমের ইনিংস দুটি না হলে বোলাররা জেতাতে পারতেন কি না প্রশ্ন তোলাই যায়। আর সে জন্যই দারুন খুশি শামীম। প্রথম ম্যাচে শামীম যখন উইকেটে যান তখন ১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ৯৫। সেখান থেকে দলকে দেড়শর কাছে যেতে সহায়তা করে তার ১৩ বলে ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংসটি। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ৭ উইকেটে ৮৮। একশর নিচে আটকে পড়ার শঙ্কায় থাকা দলকে ১২৯ রানে নিয়ে যান মূলত শামীম। এবার তার ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ৩৫ রানের অপরাজিত ইনিংস। বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্সের ম্যাচে শামীমের ইনিংসের গুরুত্ব এতটাই ছিল যে, ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কার পান তিনিই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবার সেরা হতে পেরে দারুন উচ্ছসিত এই তরুন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ২৪ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান বললেন, ফিনিশারের দায়িত্বকেই আপন করে নিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন আমি খুবই খুশি। অনেক দিন পর জাতীয় দলে ফিরেছি। দলে আমার দায়িত্ব ফিনিশারের। আমার কাজই হলো বলে হিট করা। গত কয়েক মাসে অনেক পরিশ্রম করেছি।

পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েও দলের জয়ে অবদান রাখার উচ্ছ্বাস তুলে ধরলেন তিনি। আমার সবসময়ই চিন্তা থাকে যে, দল যেরকমই থাকুক, আমি যদি খেলতে পারি, আমার দল অনেক ওপরে চলে যাবে। সবসময় ইতিবাচক ভাবনা থাকে আমার। ভালো খেলতে পেরেছি, এতেই আমি খুশি, আমার পরিবার খুশি, পুরো দেশ খুশি। এটাই ভালো লাগছে। গত বছরের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরের পর দলে জায়গা হারিয়েছিলেন শামীম। এরপর বিপিএলে কিছুটা ঝলক দেখালেও পারফরম্যান্স খুব ভালো ছিল না। টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলেও জায়গা পাননি। তবে ইতিবাচক থেকে ব্যাটিং নিয়ে কাজ করে গেছেন তিনি। জাতীয় দলের আশেপাশ যেখানে সুযোগ পেয়েছেন, ভালো করার চেষ্টা করেছেন। নিজেকে আরও শাণিত করতে পেরেছেন বলেই বিশ্বাসটা ছিল যে, জাতীয় দলে ফিরলে এবার ভালো করবেন। তিনি বলেণ বাদ পড়েছিলাম ওসব নিয়ে চিন্তা করি না। অনেক ইতিবাচক চিন্তা নিয়ে চলাফেরা করি এবং খুশি থাকতে পছন্দ করি। জানতাম যে কোনো সময় ফিরে আসতে পারব। আমি সবশেষ যতগুলো ম্যাচ খেলেছি, এইচপি দল, এইচপির হয়ে অস্ট্রেলিয়া সফর, ইমার্জিং দল, ওসবে ভালো খেলেই এসেছি। এজন্য অনেক আত্মবিশ্বাস পাচ্ছিলাম যে সুযোগ পেলে ভালো খেলব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুর্জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
পরবর্তী নিবন্ধএনসিএল টি-টোয়েন্টিতে আবার হারল চট্টগ্রাম