এক ম্যাচ হাতে রেখে আবাহনী চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের শিরোপা জিতেছে। এখন সুপার ফোর পর্বের শেষ ম্যাচটি তাদের জন্য কেবলই আনুষ্ঠানিকতার। তারপরও ম্যাচটি নিয়ে দারুণ সিরিয়াস আবাহনী। ক্লাবটির ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান গওহর সিরাজ জামিল জানিয়েছেন তার কাছে সবকটি ম্যাচের গুরুত্ব একই। এক ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা জেতার আনন্দটাই আলাদা বলে জানালেন তিনি। তবে তার কাছে এই শিরোপার আনন্দটা অন্যরকম আরো একটি কারনে। আর সেটি হচ্ছে তার একাডেমির ক্রিকেটাররাই দলকে শিরোপা জেতাতে সবচাইতে বড় ভুমিকা রেখেছে। ফোর এইচ সিরাজ ক্রিকেট একাডেমি থেকে উঠে আসা ক্রিকেটাররা দলকে এই গৌরব এনে দিয়েছেন বলেই তার আনন্দটা একটু বেশি। এমন শিরোপা জেতাতে তৃপ্তিও বেশি বলে জানালেন তিনি। গত কয় বছর ধরে নিজস্ব অবকাঠামোর মাধ্যমে ক্রিকেট একাডেমি গড়ে তোলেছেন গওহর সিরাজ জামিল। ক্রিকেটারদের জন্য তিনি রেখেছেন আন্তর্জাতিক মানের সকল সুযোগ সুবিধা। আর সে একাডেমি থেকে বেরিয়ে আসা ক্রিকেটাররা আজ দলের হাল ধরেছেন। এবারের ক্রিকেট লিগে আবাহনীর শিরোপা জয়ের পথে স্থানীয় ক্রিকেটাররাই বড় ভুমিকা পালন করেছে। ঢাকার ক্রিকেটারদের উপর নির্ভরতা ছিল অনেক কম। আর সেটাই বেশি তৃপ্তি দিচ্ছে জামলিকে। যেহেতু শিরোপা জিততে হলে ভাল দল গড়তে হবে তাই হয়তো ঢাকার ক্রিকেটার দলে নিতে হয়েছে। তবে ঢাকার ক্রিকেটাররা যতটানা সার্ভিস দিয়েছে দলকে তার চাইতে বেশি দিয়েছে নিজের ক্রিকেটাররা। ভাল একাডেমি গড়তে পারলে যে ক্রিকেটার তৈরি করা যায় তারই প্রমাণ এই সিরাজ ক্রিকেট একাডেমি।
শিরোপা জয়ের পথে দলের বোলিং সাইডটা বেশি ভুমিকা রেখেছেন বলেও জানান জামিল। তিনি বলেন আমাদের দল ছিল সবদিক থেকেই ব্যালেন্স। তবে বোলাররা কাজটা অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে ব্যাটসম্যানদের জন্য। ক্রিকেটের অন্তপ্রান গওহর সিরাজ জামিল বলেন, ক্রিকেটের সাথে তিনি আছেন এবং থাকবেন। ক্রিকেটের উন্নয়নে তার হাত সদা প্রসারিত থাকবে। নিজের একাডেমির ক্রিকেটার বলে তিনি তাদের সবকিছু বুঝেন। আর তারাও তাকে বুঝেন। দুপক্ষের মধ্যে দারুন মেল বন্ধন রয়েছে। আর মাঠে বসে ক্রিকেটারদের অনুপ্রেরনা যোগাতে জামিলের জুড়ি নেই। ক্রিকেটের প্রতি তার যেমন রয়েছে অনুরাগ তেমনি ক্রিকেট জ্ঞানও বেশ সমৃদ্ধ । তাইতো নিজেই দল জানান এবং মাঠের বাইরে থেকে দল পরিচালনা করেন। আর সে জন্যই শিরোপা জয়ে তার আনন্দটা অনেক বেশি। বরাবরই আবাহনী দল গড়ে শিরোপা জেতার জন্য। তবে ২০১৭ সালের পর আবার শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতল আবাহনী। তাও এক ম্যাচ হাতে রেখে এবং অপরাজিত থেকে। এখন শেষ ম্যাচটি জিতে অপরাজিত থাকার রেকর্ডটা আরো সমৃদ্ধ করতে চায় আবাহনী। চট্টগ্রামের লিগে আবাহনী একমাত্র দল যাদের রয়েছে দারুন পেশাদারিত্ব । ফিজিও, মেন্টর থেকে শুরু করে সবকিছুই রয়েছে দলটিতে। আর তাতেই সাফল্য ধরা দিয়েছে । এবারের লিগে বেশ কয়েকটি দল ছিল যারা শিরোপা জয়ের জন্য দল গড়েছিল। সবাইকে টেক্কা দিয়ে আবাহনী জিতে নিল শিরোপা। সব বড় দলই হেরেছে তাদের কাছে। একেবারে অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটে দল আবাহনী মিশন শেষ করেছে শিরোপা জিতে। এরই মধ্যে গত সোমবার শিরোপা নিশ্চিত করে এক দফা আনন্দ উদযাপন করেচে আবাহনী। এখন আরেক দফা আনন্দ উদযাপন করতে চায় লিগের শেষ ম্যাচটি জিতে। আপাতত সে জন্য অপেক্ষা।