নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করলেন জ্যোতি

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৭:৩১ পূর্বাহ্ণ

দলের পারফরম্যান্স তো ভুলে যাওয়ার মতোই। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টিটোয়েন্টি সিরিজটি ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও দুঃসহ হয়ে থাকবে নিগার সুলতানার জন্য। একদমই ঘুমিয়ে ছিল তার ব্যাট। দুঃস্বপ্নের মতো সিরিজ কাটিয়ে আত্মোপলব্ধিও আছে বাংলাদেশ অধিনায়কের। দলের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পেছনে নিজের ব্যর্থতার দায় সবটুকুই নিচ্ছেন তিনি। মিরপুরে ওয়ানডে সিরিজে আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করা বাংলাদেশ উল্টো স্বাদ পেয়েছে সিলেটে। টিটোয়েন্টি সিরিজের নিগারের দল হেরে গেছে ৩০ ব্যবধানে। এই তিন ম্যাচে অধিনায়কের মোট রান ১৮। তিন ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক সিরিজে এর চেয়ে বাজে সিরিজ তার ক্যারিয়রে আছে আর কেবল একটি। ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় তিন ম্যাচে করেছিলেন ১০ রান। এবার প্রথম ম্যাচে নিগার যখন ক্রিজে যান, শতরানের শুরুর পর দারুণ এক জয়ের ভালো সম্ভাবনা ছিল তখন দলের। কিন্তু তিনি আউট হয়ে যান ৪ রান করে। পরের ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ১৩৪। রান রেটের চাপ ততটা ছিল না। নিগার নিজের সহজাত ব্যাটিং করতে পারলে দলের জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যেত অনেকটাই। কিন্তু এবার বিদায় নেন তিনি ৮ রানে। শেষ ম্যাচে গতকাল সোমবার যখন তিনি ব্যাটিংয়ে নামেন, দল তখন শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে। কিন্তু নিগার মেটাতে পারেননি পরিস্থিতির দাবি। উল্টো ১৬ বলে ৮ রান করে দলকে চাপে ফেলে আসেন। সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অকপটেই নিজেকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আমরা যারা অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছি, তাদের দায়িত্ব নেওয়া উচিত ছিল। যেমন আমি পুরো টুর্নামেন্টে কোনো রান করতে পারিনি। আমি বলব যে আমার দিক থেকে আমি ব্যর্থ। কারণ টপ অর্ডার ব্যাটার হিসেবে আমার কাছ থেকে সবাই অনেক বেশি প্রত্যাশা করে। কিন্তু আমি কোনোটিতেই অবদান রাখতে পারিনি।

যে কারণে দল অনেকটা পিছিয়ে গেছে। ব্যাটিংবোলিংফিল্ডিং, তিন বিভাগ একসঙ্গে গাঁথতে না পারায় টিটোয়েন্টি সিরিজে দল মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে মনে করেন নিগার। তিনটি বিভাগ সম্মিলিতভাবে ভালো করতে পারছি না। দেখা যাচ্ছে যে, বোলিংফিল্ডিং ভালো হলে ব্যাটিং করতে পারছি না। ব্যাটিং ভালো হলে বোলিংফিল্ডিং হচ্ছে না। আজকের ম্যাচটিও তো হাতে ছিল। বোলারা দুর্দান্ত বল করেছে, ফিল্ডাররা সাপোর্ট করেছে। কিন্তু আমরা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ ছেড়েছি। এসব সময়গুলোতে নার্ভ ঠিক রেখে কীভাবে নিজেদেরকে মেলে ধরা যায়, সেটা আরেকটু ভাবা উচিত। নিগারদের পরের চ্যালেঞ্জ আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডে ও টিটোয়েন্টি সিরিজ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রেরণা অটিজম স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পন্ন
পরবর্তী নিবন্ধটি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশড বাংলাদেশের মেয়েরা