লেখাপড়া শেষে চাকরি করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন মো. আরমান ইমরান (২৪)। মা মারা যাওয়ার পর পরিবারকে স্বাবলম্বী করার জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বাইক দুর্ঘটনায় তার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন সড়কেই ঝরে গেল। বিলাপ করতে করতে এসব কথা বলতে থাকেন তার বাবা মো. বদিউল আলম।
বোয়ালখালীতে সড়কে বাইক দুর্ঘটনার চারদিন পর মো. আরমান ইমরান (২৪) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুর্ঘটনার পর সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৪টার দিকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ইমরান।
নিহত আরমান পৌরসভার বহদ্দার পাড়া এলাকার ইউছুপ তালুকদার বাড়ীর বদিউল আলমের ছেলে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সে সবার ছোট।
তার বন্ধু মুহাম্মদ সাওরাত বলেন, সে মিউনিসিপ্যাল স্কুলের এসএসসি ২০১৮ ব্যাচের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিল। পরে শ্যামলী আইডিয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউডের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট থেকে লেখাপড়া শেষ করেন।
তার বাবা বদিউল আলম বলেন, আমার ছেলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিল। তাই দিন রাত পরিশ্রম করে শ্যামলী আইডিয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউডের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট থেকে লেখাপড়া শেষ করেন। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার আগেই দুনিয়া থেকে চলে গেলেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হলে প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বললে আমরা নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে সে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিউ) ছিল। চারদিন পর সে মারা যায়।
সে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ বহদ্দার পাড়া ইউছুপ তালুকদার বাড়ী শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় করোনাকালীন সময়ে মৃত ব্যক্তিদের দাফন কাফনে তাঁর খুবই অবদান ছিল।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কানুনগোপাড়া সড়কের পূর্ব গোমদণ্ডী মুজাহিদ চৌধুরী পাড়ার হযরত আয়েশা সিদ্দিক (রা.) মহিলা মাদ্রাসার সামনে দুই বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আরমানসহ চারজন আহত হয়।
