নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিনের মৃত্যুদণ্ড মিথ্যা মামলায় : ফখরুল

| রবিবার , ২৬ অক্টোবর, ২০২৫ at ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ

জামায়াতে ইসলামীর নেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, নয়া দিগন্তের মালিক মীর কাসেম আলী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ বহু আলেমওলামাকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, গণতন্ত্রকামী শক্তিগুলোর ওপর ফ্যাসিবাদী সরকারের দমনপীড়নের কথা জাতি ভুলে যায়নি। ৬০ লাখ কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা হয়েছে, ২০ হাজারের বেশি নেতাকর্মী হত্যাকাণ্ড ও গুমের শিকার হয়েছেন। নিজামী, মীর কাসেম, সালাউদ্দিন কাদেরসহ বহু আলেমকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, এগুলো জাতির ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায়। গতকাল শনিবার সকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে দৈনিক নয়া দিগন্তের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। খবর বাংলানিউজের।

মির্জা ফখরুল বলেন, নয়া দিগন্ত আমাদের কাছে সংগ্রামের আরেক নাম। ফ্যাসিবাদী শাসনামলে এই পত্রিকার সম্পাদক, সাংবাদিক, প্রকাশক ও কর্মীরা অকথ্য নির্যাতননিপীড়নের শিকার হয়েছেন। তবুও তারা ধৈর্য, সতর্কতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চালিয়ে গেছেন। তিনি আরও বলেন, বিগত স্বৈরাচারী শাসনামলে এই পত্রিকার সাংবাদিকদের ওপর ভয়াবহ দমনপীড়ন চালানো হয়েছে। তবুও তারা গণমানুষের চেতনা ও সত্যের সংবাদ প্রচারে অটল ছিলেন। বিএনপি মহাসচিব হিসেবে আমি তাদের এই সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

গণতন্ত্রের সংগ্রাম প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, এই দেশবাসী একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চায়যে বাংলাদেশ কোনো বিদেশি শক্তির নিয়ন্ত্রণে নয়, বরং জনগণের ইচ্ছায় পরিচালিত হবে। নয়া দিগন্ত সেই লক্ষ্যেই গণমানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

বাকশাল যুগের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের বাকশাল শাসনের সময় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তখন অনেক সাংবাদিক বেকার হয়ে রাস্তায় হকারি করেছেন। পরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনেন এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসংঘাতের জন্য সবাই মুখিয়ে আছে, কয়েক মাসের মধ্যেই দেখা যাবে : মাহফুজ
পরবর্তী নিবন্ধআজ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে নিম্নচাপ