চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আমাদের যে ভূ-সম্পত্তি রয়েছে সেগুলোর সদ্ব্যবহার এবং সেখানে পরিকল্পিত আয়বর্ধ্বক প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বনির্ভরতা নিশ্চিত হবে। এতে নগরীর উন্নয়ন ও জনদুর্ভোগ লাঘবে আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তিনি গতকাল সকালে ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডস্থ চসিকের ঠান্ডাছড়ি রিসোর্ট পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ হয় নগরবাসীর দেয়া কর, রাজস্ব আদায় বা কখনো কখনো সরকার থেকে পাওয়া থোক বরাদ্দ থেকে। এ দিয়ে নগরীকে সকলের বাসযোগ্য ও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা সম্ভব নয়। এ ছাড়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেবা খাত অন্যান্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান থেকে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি বিস্তৃত। এ জন্য একসময় দেশ-বিদেশে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সুনাম ছিলো। এটা সম্ভব হয়েছে প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে। তিনি চসিকের ভ্থ-সম্পদ বাড়িয়েছেন। ঠান্ডাছড়ি রিসোর্ট মহিউদ্দিন চৌধুরীর একটি অনন্য কীর্তি। বিশাল এই ভ্থ-সম্পত্তিতে পর্যটন ও বিনোদন স্পটসহ অনেক ছোট-বড়-মাঝারি আয়বর্ধ্বক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। এতে চসিকের সক্ষমতার ভিত মজবুত হবে। এই লক্ষ্যে তিনি চসিকের সকল কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীদের আয়বর্ধ্বক প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাবনা যাচাই ও উপায় অন্বেষণের আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গাজী মো. শফিকুল আজিম, জালালাবাদ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শাহেদ ইকবাল বাবু, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, ভ্থ-সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চৌধুরী, স্থপতি আবদুল্লাহ আল ওমর প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।