এক ম্যাচ পর আরেকটি সেঞ্চুরি তুলে নিলেন নিগার সুলতানা। বড় পুঁজির ওপর দাঁড়িয়ে বল হাতে আলো ছড়ালেন ফাহিমা খাতুন। ইমার্জিং নারী দলের ওয়ানডে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ নারী ইমার্জিং দল পেল টানা চতুর্থ জয়। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চতুর্থ ওয়ানডেতে ১১০ রানের বড় জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। ২৩৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সফরকারীরা গুটিয়ে গেছে ১২৬ রানে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশের মেয়েরা এগিয়ে ৪-০ ব্যবধানে। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ পঞ্চম ওভারে প্রথম উইকেট হারায়। শারমিন সুলতানা এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে আসার পর প্রতিরোধ গড়ে তুলেন নিগার সুলতানা এবং মুর্শিদা খানম। আস্থার সঙ্গে খেলতে থাকেন দুই জন। এগোতে থাকেন নিজেদের হাফ সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু অর্ধশতকের আগে মুর্শিদা রান আউটে কাটা পড়ে ফিরেন ৪১ রান করা মুর্শিদা খানম। আর সে সাথে ভাঙ্গে ৮২ রানের জুটি। ফারজানা হককে দ্রুত ফিরিয়ে দেন নবুলুমকো বানেটি। সোবহানাকে নিয়ে ৭ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন নিগার। ৭১ বলে এই কিপার-ব্যাটসম্যান স্পর্শ করেন নিজের হাফ সেঞ্চুরি। এরপর ১৩১ বলে তুলে নেন সিরিজে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৮টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ১৩২ বলে ১০১ রান করে। মাঝে ৫২ বলে ৪৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন সোবহানা। শেষ দিকে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ১৬ বলে একটি করে ছক্কা ও চারের সাহায্যে ২৫ করেন লতা মন্ডল। আর তাতে ২৩৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশের নারীরা। ২৩৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনার অ্যানেরি ডের্কসেনকে ফিরিয়ে প্রথম ছোবল মারেন সালমা খাতুন। উইকেটে সেট হয়েও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি ননডুমিসো সাঙ্গাস। তাকে ফেরান নাহিদা আক্তার। এরপর আন্নেকে বোস এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান। কিন্তু তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। পরপর দুই বলে ফে টুন্নিক্লিফ ও সিনালো জাফটাকে বোল্ড করে প্রতিপক্ষকে এক রকম চেপে ধরেন ফাহিমা খাতুন। তার লেগ স্পিনে স্টাম্প ভাঙে লি জোন্সেরও। শেষ পর্যন্ত দারুন লড়াই করা আন্নেকে বোসকে থামান সালমা। ৮১ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ৬৩ রান করে ফিরেন এই ব্যাটসম্যান। আন্নেকে বোস ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার আর কোন ব্যাটসম্যান পানেনি ২০ রান পার করতে। ফলে ১২৬ রানে অল আউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দল। বাংলাদেশের পক্ষে ফাহিমা খাতুন নিয়েছেন ২৯ রানে ৪ উইকেট। ১টি উইকেট নিয়েছেন সালমা খাতুন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন সেঞ্চুরি করা নিগার সুলতানা।